ডেঙ্গুতে রোগীর মৃত্যু হয়েছে কিনা নিশ্চিত হতে ‘ডেথ রিভিউ কমিটি’

ঢামেকঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) ডেঙ্গু রোগে কেউ মারা গেছেন কিনা তা নিশ্চিত হতে সাত সদস্যের ‘ডেথ রিভিউ কমিটি’ করা হয়েছে। ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাছির উদ্দীন বুধবার (৭ আগস্ট) এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘রোগী জ্বরে আক্রান্ত হলেই এখন বলা হচ্ছে, ডেঙ্গুতে মারা গেছেন। আমরা দেখছি, জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হওয়ার কিছু সময় পরই কোনও কোনও রোগী মারা যাচ্ছেন। আসলে সেই রোগী যে ডেঙ্গুতেই মারা গেছেন তা নিশ্চিত হওয়া যায় না। এজন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা প্রয়োজন।’
একেএম নাছির উদ্দীন বলেন, “একজন রোগী বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ছিলেন, পরে তার জ্বরও হয়। সেক্ষেত্রে রোগীটি মারা গেলে রোগীর স্বজনরা বলছেন, তিনি ডেঙ্গু জ্বরে মারা গেছেন। আসলে এ ধরনের রোগীর ক্ষেত্রে দেখা যায়, ওই রোগী আগে থেকে খারাপ অবস্থায় ছিলেন। তাই হাসপাতালের পক্ষ থেকে এ ধরনের রোগীদের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নির্ণয়ের জন্য ‘ডেথ রিভিউ’ নামে একটি কমিটি করা হয়েছে। এছাড়া কী কী কারণে রোগীর মৃত্যু হয়েছে তা নির্ণয় করবে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইডিসিআর)।”
ঢামেক হাসপাতালের ডেথ রিভিউ কমিটিতে রয়েছেন মেডিসিন বিভাগে অধ্যাপক ডা. মো. মজিবুর রহমান, অধ্যাপক শ্যামল সরকার, অধ্যাপক মো. টিটো মিয়া, অধ্যাপক ডা. আহমদুল কবির, শিশু বিভাগের অধ্যাপক সাঈদা আনোয়ার, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের প্যাথলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. রেজাউল করিম দেওয়ান, অ্যানেসথেসিয়া বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. মোজাফফর হোসেন। কমিটি ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছেন বলে তিনি জানান।
হাসপাতালের তথ্য অনুসারে, বুধবার পর্যন্ত রোগীর মৃত্যু সংখ্যা ১৮ জন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাছির উদ্দীন। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ১৮ জনের নাম রয়েছে। তবে সবাই যে ডেঙ্গুতে মারা গেছেন এটা আরও নিশ্চিত হতে হবে। মৃতের তালিকায় যারা রয়েছেন তারা হলেন, রাবেয়া, ফাতেমা, নাছিমা, হাফিজা, রাজু, ফরহাদ, রীতা আকতার, ফারজানা হেসেন, উপেন্দ্র চন্দ্র মণ্ডল, মো. লিটন, মো. রবিউল ইসলাম, দীপালি আকতার, হাসান, নকুল দাস, আমজাদ হোসেন, মনোয়ারা, আউয়াল ভুইয়া, আনোয়ারা বেগম।
হাসপাতালের তথ্য মতে, এ বছরের জানুয়ারি থেকে ৭ আগস্ট সকাল পর্যন্ত চিকিৎসা নিতে আসা মোট ভর্তি রোগী ৩ হাজার ৫৪৬ জন। এর মধ্যে চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন ২ হাজার ৮০৭ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ১৮ জন। বর্তমানে ভর্তি রয়েছেন ৭২১ জন।