দেরিতে ছাড়ছে ট্রেন, ভোগান্তিতে যাত্রীরা

ঈদযাত্রার দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে প্রায় সবক’টি ট্রেন দেরিতে ছাড়ছে। নির্ধারিত সময়ে ট্রেনগুলো স্টেশনে পৌঁছাতে না পারার ফলেই এ বিপর্যয়। স্টেশন থেকেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ট্রেন দেরিতে ছেড়ে যাওয়ার কথা। এর আগে, ৩০ জুলাই যারা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করেছিলেন তারা আজ ঢাকা ছাড়ছেন।

সকালে কমলাপুর স্টেশনে এসে সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়েন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যেতে চাওয়া যাত্রীরা। বুধবার ট্রেনের কিছুটা বিলম্ব থাকলেও আজ কোনও ট্রেনই শিডিউল অনুযায়ী ছেড়ে যায়নি। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গগামী ট্রেনগুলোর প্রতিটিই নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে যেতে পারবে না বলে স্টেশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। একদিকে বৃষ্টি অন্যদিকে ট্রেনের দেরিতে ভোগান্তিতে পড়েন তারা।

বৃহস্পতিবার দিনের শুরুতে রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকাল ৬টা ২০ মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও কমলাপুর ছেড়ে যায় সকাল সাড়ে আটটার দিকে। চিলাহাটীগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস সকাল ৮টায় ছাড়ার কথা থাকলেও স্টেশন থেকে ছেড়ে যায় ১০টা ২৫ মিনিটে। এছাড়া সকাল ৯টায় রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার সম্ভাব্য সময় দেওয়া হলেও ছেড়েছে ১১টায়। দিনাজপুর-পঞ্চগড়গামী একতা এক্সপ্রেস সকাল ১০টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও ছেড়েছে সোয়া ১১টায়।

চিলাহাটীগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ৩০ জুলাই অনেকটা যুদ্ধ করে কাঙ্ক্ষিত টিকিট পেয়েছিলাম। তবে সময়মতো স্টেশনে উপস্থিত হয়ে জানতে পারলাম ট্রেন আড়াই ঘণ্টা লেট। সঙ্গে মা, স্ত্রী, ছোট ছোট সন্তান রয়েছে। একে তো দীর্ঘপথ, তার ওপর যদি ট্রেন লেট হয়, তাহলে এই বিড়ম্বনা কীভাবে মেনে নেওয়া যায়। রেল কর্তৃপক্ষ জানেই যে ঈদের সময় ব্যাপক যাত্রী চাপ সৃষ্টি হয়, সে অনুযায়ী তারা আগে থেকে কোনও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করে না। আর তার মাশুল দিতে হয় আমাদের মতো সাধারণ যাত্রীদের।

কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ আমিনুল হক বলেন, ঈদযাত্রার দ্বিতীয় দিনে স্টেশন থেকে তিনটি স্পেশালসহ মোট ৫৫টি ট্রেন ছেড়ে যাবে। আমরা সার্বিক চেষ্টা করছি ট্রেনগুলোর শিডিউল ঠিক রাখার। আসলে যে ট্রেনগুলো দেরি করে স্টেশনে এসে পৌঁছেছে সেই ট্রেনগুলোই দেরিতে ছেড়েছে। বাকি ট্রেনগুলো নির্ধারিত সময়েই স্টেশন ছেড়ে গেছে।