কথাসাহিত্যিক রিজিয়া রহমান আর নেই

 

রিজিয়া রহমান

একুশে পদকপ্রাপ্ত কথাসাহিত্যিক রিজিয়া রহমান আর  নেই। শুক্রবার (১৬ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। তিনি ক্যানসার ও কিডনি রোগে ভুগছিলেন। 

রিজিয়া রহমানের মৃত্যুতে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা ফয়সল হাসান বাংলা ট্রিবিউনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

রিজিয়া রহমান ১৯৩৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর ভারতের কোলকাতার ভবানীপুরে এক মুসলমান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈত্রিক বাড়ি ছিল কোলকাতার কাশিপুর থানার নওবাদ গ্রামে। তার বাবা আবুল খায়ের মোহম্মদ সিদ্দিক ছিলেন একজন চিকিৎসক ও মা মরিয়াম বেগম একজন গৃহিণী। ১৯৪৭ সালের দেশবিভাগের পর রিজিয়া তার পরিবারের সঙ্গে বাংলাদেশে চলে আসেন। রিজিয়া রহমানের স্বামী মীজানুর রহমান ছিলেন একজন খনিজ ভূতত্ববিদ। তিনি পেট্রোবাংলায় কর্মরত ছিলেন। তাদের এক ছেলে, নাম আব্দুর রহমান।

তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে— অগ্নিসাক্ষরা, রক্তের অক্ষর, ঘর ভাঙা ঘর,বং থেকে বাংলা, সূর্য-সবুজ-রক্ত, অলিখিত উপাখ্যান,  অরণ্যের কাছে, উত্তর পুরুষ, শিলায় শিলায় আগুন, হে মানব মানবী, নদী নিরবধি, পবিত্র নারীরা এবং সীতা পাহাড়ে আগুন, প্রজাপতি নিবন্ধন।

লেখালেখির স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৭৮ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন তিনি। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার এবার তাকে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদক প্রদান করে।





শোকবার্তায় সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ  বলেন, ‘রিজিয়া রহমান ছিলেন একাধারে লেখক, গল্পকার ও ঔপন্যাসিক। সাহিত্যের বিভিন্ন শাখা— গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, রম্যরচনা ও শিশুসাহিত্যে ছিল তার অবাধ বিচরণ।  তার মৃত্যু এদেশের সাহিত্য অঙ্গণের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি হলো। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অবদানের  জন্য এই খ্যাতনামা ঔপন্যাসিককে এদেশের মানুষ দীর্ঘকাল মনে রাখবে।

রিজিয়া রহমানের ছেলে আব্দুর রহমান তপু জানান, শুক্রবার বাদ আসর উত্তরার পাঁচ নম্বর সেক্টরের মসজিদে তার মায়ের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে তাকে মিরপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে।