‘মিরপুরে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত তিন হাজার পরিবার’

মিরপুরে আগুনের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের সংবাদ সম্মেলন

মিরপুরের চলন্তিকা বস্তিতে শুক্রবার (১৬ আগস্ট) রাতে লাগা আগুনে বস্তিতে থাকা তিন হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক মো. রেজাউল করিম। তিনি বলেন, ‘এখানে আনুমানিক ৫০০ থেকে ৬০০ ঘর ছিল। আমরা কিছু ঘর এবং পরিবারগুলো সেভ করতে সক্ষম হয়েছি। তবে আগুনে বস্তির  তিন হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
শনিবার (১৭ আগস্ট) সকালে চলন্তিকা মোড়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

রেজাউল করিম আরও বলেন, ‘আগুনে বেশির ভাগ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বর্তমানে আমাদের অনুসন্ধান চলছে। প্রথম থেকে আমাদের কাজ করতে অনেক বেগ পেতে হয়েছে। কারণ, টিনের চালাঘর সব ধসে পড়েছে। এগুলো সরিয়ে কাজ করতে হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আগুন নেভাতে আমাদের ২৪টি ইউনিট কাজ করেছে। কেউ নিহত হননি, তবে চারজন আহত হয়েছেন।’  

তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে কিনা, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের তদন্ত কমিটি প্রক্রিয়াধীন আছে। আজকের মধ্যেই সেটি হয়ে যাবে। একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখানে অনেক দাহ্য বস্তু ছিল। গ্যাসের সংযোগগুলো ভার্নাবল অবস্থায় ছিল। ফলে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। বস্তির আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার কারণ হচ্ছে—সহজ দাহ্য বস্তু দিয়ে বস্তির ঘরগুলো তৈরি করা হয়। আর ঘরগুলো পাশাপাশি একত্রে লাগানো থাকে। কোনও সেপারেশন থাকে না। এজন্যই বস্তির আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।’

এ সময় ফায়ার সার্ভিসের অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:

রূপনগরের আগুনকে নাশকতা মনে করছেন বস্তিবাসী

ছবিতে রূপনগরের বস্তিতে আগুন

মিরপুরে বস্তিতে আগুন, ঈদের ছুটির কারণে প্রাণহানি থেকে রক্ষা