অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ফরিদপুরের দুই ভাইকে জিজ্ঞাসাবাদ

দুদক

অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ফরিদপুর সদরের দুই ভাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তারা হলেন- সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও ইমতিয়াজ হাসান রুবেল। তারা দুজনই রাজনীতিবিদ।

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সকাল ১১টা থেকে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদকের উপপরিচালক আলী আকবর। এর আগে বরকত ও রুবেলকে চিঠি দিয়ে তলব করা হয়।

দুদক কর্মকর্তা আলী আকবর  জানান, অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে তাদের দুজনকে (বরকত ও রুবেল) দুই দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তারা সকাল সাড়ে ১১টার দিকে দুদক কার্যালয়ে এলে প্রথমে সাজ্জাদ হোসেন বরকতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেওয়া হয়।

বরকতকে সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এসময় তার বিরুদ্ধে অবৈধভাবে বিপুল সম্পদ অর্জনসহ বিভিন্ন বিষয় জানতে চায় তদন্তকারী কর্মকর্তা।

জানতে চাইলে দুদকের উপপরিচালক আলী আকবর আরও জানান, তাদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ রয়েছে তার ভিত্তিতে বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে। তারা কিছু তথ্য দিয়েছেন। অনুসন্ধানের প্রয়োজনে আবারও ডাকা হতে পারে। অনুসন্ধানের জন্য নিয়ম ৪৫ কর্মদিবস সময় আছে। আশা করি এর মধ্যেই কাজ শেষ করতে পারবো। যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে আরও ৩০ কর্মদিবস নেওয়া যাবে বলেও জানান তিনি।

এর আগে, গত ১ মে দুদকের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের এক চিঠিতে দুদকের ফরিদপুর জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদকে অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। গত ২০ মে অনুসন্ধানী কর্মকর্তা চিঠি দিয়ে বরকত ও রুবেলকে দুদকে তলব করে। ২২ মে তারা ফরিদপুর দুদক কার্যালয়ে হাজির হন।

দুদক সূত্রে জানায়, দুদক কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে বরকত ও রুবেলের সখ্যের অভিযোগ ওঠে। গত রমজান মাসে তাদের একসঙ্গে ইফতার পার্টিসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা যায়। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে পরে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদকে অব্যাহতি দিয়ে অনুসন্ধান কাজ ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। দায়িত্ব দেওয়া হয় দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক আলী আকবরকে।

অনুসন্ধান কাজ তদারকির দায়িত্বে আছেন দুদকের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক আক্তার হোসেন। তিনি জানান, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ অনুসন্ধানের জন্য অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা পরিবর্তন করা হয়েছে। অনুসন্ধান চলছে। অগ্রগতি সম্পর্কে এখন বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়।