প্রাথমিকে ৬১ হাজার নতুন শিক্ষক পদ সৃষ্টি

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়

মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এজন্য ৬১ হাজার ১৬৬ জন শিক্ষকের পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির প্রথম যৌথ বার্ষিক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এ সংক্রান্ত পরিকল্পনা ইতোমধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদফতরের তথ্যমতে, দেশে বর্তমানে মোট শিক্ষকের সংখ্যা ৩ লাখ ২২ হাজার ৭৬৬ জন। এর মধ্যে বর্তমান সরকারের সময় নিয়োগ হয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার ১০০। এছাড়াও সহকারী প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগ পরীক্ষাও চলছে।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, চলমান সহকারী শিক্ষক পরীক্ষা শেষ হলে ২০২০ সালে উত্তীর্ণদের নিয়োগ দেওয়া হবে। এরপরে নতুন পদে ফের শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে।

৪ আগস্ট শুরু হওয়া এই পর্যালোচনা সভায় কর্মসূচিতে আর্থিক সহায়তা দেওয়া ৫টি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী- এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), জাপান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (জাইকা), জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) এবং বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। বৃহস্পতিবার ছিল এর সমাপনী সভা।

পর্যালোচনা সভায় চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির পাঁচটি বিষয় নিয়ে গ্রুপ ডিসকাশন হয়। এতে শিক্ষার মান নিশ্চিত করা, শিক্ষার্থীর অংশ গ্রহণ নিশ্চিত করা, ব্যবস্থাপনা ও সুশাসন, অর্থ ও ক্রয় ব্যবস্থাপনা এবং সুষ্ঠু সমন্বয় ও অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করার বিষয়ে আলোচনা হয়।

পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের আলোচনায় জানানো হয়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দুর্যোগকালীন সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত ৫২৩টি বিদ্যালয়ে ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ বিদ্যালয় পর্যায়ে মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষগুলোতে ২৬ হাজার আইসিটি প্যাকেজ বিতরণ করা হবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মো. আকরাম-আল-হোসেন এই সভায় সভাপতিত্ব করেন।