স্কিন ক্রিমসহ ১৩টি পণ্য নিম্নমানের: হাইকোর্টে বিএসটিআই’র প্রতিবেদন

হাইকোর্ট

১৫৪টি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পরীক্ষা করে স্কিন ক্রিম ও ঘিসহ মোট ১৩টি নিম্নমানের পণ্য খুঁজে পেয়েছে বলে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)। একইসঙ্গে ওই ১৩টি পণ্য নিম্নমানের হওয়ায় বাজার থেকে তা সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে ওই প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।

বিএসটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী নিম্নমানের ওই পণ্যগুলো হলো—ফার্ম ফ্রেশের ঘি, ফর্টিফাইড সয়াবিন অয়েল (সেফ), ফর্টিফাইড সয়াবিন তেল (কিচেন), মদিনা লাচ্ছা সেমাই, আয়োডিনযুক্ত লবণ (উট), আয়োডিনযুক্ত লবণ (নজরুল), মডার্ন স্কিন ক্রিম, জিএম স্কিন ক্রিম, অ্যারাবিয়ান স্পেশাল ঘি, রেভেন লাচ্ছা সেমাই, খাজানা লাচ্ছা সেমাই, খাজানা ঘি এবং খাজানা চানাচুর।

আদালতে প্রতিবেদনটি দাখিল করেন বিএসটিআই’র আইনজীবী সরকার এমআর হাসান। এ সময় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পক্ষে ব্যারিস্টার মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম ও ভোক্তা অধিকারের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কামরুজ্জামান কচি।

এর আগে হটলাইন চালু করতে ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ চাওয়ার বিষয়ে জানতে তলবে হাইকোর্টে হাজির হন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ বিভাগ) শামীম আল মামুন। পরে এ মামলার শুনানিকালে ১৩টি নিম্নমানের পণ্যের বিষয়ে আদালতকে অবহিত করে বিএসটিআই।