রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতরে ডেঙ্গু নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সংস্থাটির রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. সানিয়া তহমিনা।
ডা. সানিয়া তহমিনা বলেন, ‘জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে রোগী বৃদ্ধি শুরু হয়েছিল। আগস্টে দুই হাজার ৪০০ পর্যন্ত উঠেছিল। কিন্তু এখন আবার জুলাইয়ের মতো চলে এসেছে রোগীর সংখ্যা। যদিও গতকালের চেয়ে আজ (রবিবার) আবার একটু বেড়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এখনও ঢাকার তুলনায় বাইরে রোগী বেশি, যদিও সেটা এখন নিম্নগামী।’
স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক বলেন, ‘চলতি মৌসুমের শুরু থেকে আজ (১ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত দেশে মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৭১ হাজার ৯৭ জন, হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬৬ হাজার ৬৫৮ জন। অর্থাৎ মোট রোগীর ৯৪ শতাংশ রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।’
এদিকে, স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানায়, বর্তমানে দেশের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা চার হাজার ২৫৪ জন। এরমধ্যে ঢাকার ৪১টি সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত হাসপাতালে ভর্তি আছেন দুই হাজার ৩৪০ জন, আর রাজধানী ছাড়া ঢাকার আট বিভাগে ভর্তি থাকা রোগীর সংখ্যা এক হাজার ৮১৪ জন।
অধ্যাপক ডা. সানিয়া তহমিনা আরও জানান, বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিন ও বাংলাদেশ পেডিয়াট্রিক অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ উদ্যোগে সাভার, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ এবং ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, হলি ফ্যামিলি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন ও শিশু বিশেষজ্ঞদের নিয়ে ডেঙ্গু ম্যানেজমেন্ট ট্রেনিংয়ের আয়োজন করা হয়েছে।
এদিকে, সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) জানিয়েছে, বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে তাদের কাছে ১৮৫টি মৃত্যুর তথ্য পাঠানো হয়েছে। এরমধ্যে তারা ৯৬টি মৃত্যু পর্যালোচনা করে ৫৭টি মৃত্যু ডেঙ্গুতে হয়েছে বলে নিশ্চিত হয়েছেন।