পুলিশ জানিয়েছে, বেলা দেড়টার সময় বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের বহিরাঙ্গন থেকে ইয়াবাসহ কিশোরী ফারজানা আক্তার মীমকে (১৪) আটক করা হয়। তার দেহ তল্লাশি করে ২০টি এয়ারটাইট প্যাকেটে ১ হাজার পিস ইয়াবা পাওয়া যায়।
অন্যদিকে বেলা ২টার সময় মো. ইয়ামিনকে (৩২) বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের বহিরাঙ্গনের পুকুরপাড় থেকে আটক করা হয়। তার দেহ তল্লাশি করে চার হাজার পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। আটক ইয়ামিনের নামে ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানায় মাদকের মামলা আছে।
এছাড়া, বিকাল ৩টার দিকে মো. শরিফুল ইসলামকে (২৬) বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনাল সংলগ্ন পাবলিক টয়লেটের পাশ থেকে আটক করা হয়। তার দেহ তল্লাশি করে তিন হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক তিন জনই নিজেদের মাদকের বাহক বলে দাবি করেন। মূল মালিকের প্রতিনিধির কাছে এসব ইয়াবার চালান পৌঁছানোর কথা ছিল তাদের।
আটক ফারজানা আক্তার মীমের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরীতে। আটক ইয়ামিন বরিশাল জেলার হিজলা থানার শ্রীপুর গ্রামের আব্দুল মজিদ তালুকদারের পুত্র এবং শরিফ (২৬) ঢাকার শ্যামপুর থানার গেন্ডারিয়ার দক্ষিণ মীর হাজীরবাগ এলাকার মৃত তবারক হাওলাদারের পুত্র।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন জানান, আটকদের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।