গৃহকর্মীদের বৈষম্য দূর করতে অক্সফামের নতুন কর্মসূচি

১১১১১১১১১১১১১১১১১১

গৃহকর্মীদের কাজের স্বীকৃতি, আইনি সুরক্ষা ও বৈষম্য দূর করতে নতুন প্রকল্প হাতে নিয়েছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা অক্সফাম। শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে নতুন  কর্মসূচির উদ্বোধন করে সংস্থাটি।

নতুন এই কর্মসূচি ব্যবস্থাপক গীতা অধিকারী বলেন, ‘গৃহকর্মীদের কাজের কোনও স্বীকৃতি নেই। আয়ের নির্দিষ্ট সীমা নেই। আইনি সুরক্ষাও নেই। তারা এখনও প্রান্তিক পর্যায়ে আছে। এ কর্মসূচির মাধ্যমে গৃহকর্মীদের বৈষম্য দূর করার চেষ্টা করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘গৃহকর্মী একজন শ্রমিক। সে শ্রমিকের মূল্যায়নটুকু যেন পায়, সেই কাজটুকুই আমরা করবো। আশা করছি, সামনে একটি ভালো গৃহকর্মীসুলভ বাংলাদেশ দেখতে পাবো।’

অক্সফাম বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর দীপঙ্কর দত্ত বলেন, ‘গৃহকর্মীরা যেন সুন্দরভাবে কাজ করতে পারে, সে সহযোগিতাই আমরা করবো। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের দক্ষ করে তোলার চেষ্টা করবো, যেন তারা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে।’

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য ইসরাফী আলম, কানাডিয়ান হাইকমিশনার ত্রিনা ওভিদো (Trina Oviedo), বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংস্থার নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবির এবং গৃহকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

জানা যায়, বাংলাদেশে ২০ লাখ মানুষ গৃহকর্মীর কাজের সঙ্গে জড়িত। শিশু গৃহকর্মীর সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে সরকারি পরিসংখ্যানের সঙ্গে এই হিসেব অসঙ্গতিপূর্ণ হতে পারে। শ্রম আইন (২০০৬) থেকে আইনি সুরক্ষায় বাদ পড়ে এই মহিলা গৃহকর্মীরা। যার ফলে, তারা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন বাধা, ন্যায্য মজুরি না পাওয়া, স্বাস্থ্যসম্মত কাজের পরিবেশ এবং সামাজিক সুরক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়। এছাড়াও প্রতিনিয়ত যৌন নিপীড়নের শিকারও হন তারা।

তাই, অক্সফামের এই নতুন কর্মসূচি ঢাকায় ১৬ হাজারের বেশি নারী গৃহকর্মী নিয়ে কাজ করবে। আর এ কাজের জন্য কানাডিয়ান সরকার ১১.৯ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছে সংস্থাটিকে। মূলত গৃহকর্মীদের কাজের স্বীকৃতি, আইনি সুরক্ষা ও বৈষম্য দূর করাই হচ্ছে এই প্রকল্পের কাজ।