ডিএনসিসি জানায়, দেশে থাকলে যায়ান বনানীর ওই মাঠে খেলাধুলা করতো। ডিএনসিসি তার স্মৃতি ধরে রাখার জন্য মাঠটির নাম পরিবর্তনের উদ্যোগ নেয়। বিষয়টি নিয়ে গত ২২ মে সংস্থাটির ২৯তম বোর্ড সভায় প্রস্তাব তোলা হলে সর্বসম্মতিক্রমে তা অনুমোদন দেওয়া হয়। ২৮ মে, ডিএনসিসির সড়ক অবকাঠামো নামকরণ উপ-কমিটির সভায় সুপারিশসহ স্থানীয় সরকার বিভাগে চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। পরে মন্ত্রণালয় সেটি অনুমোদন দেয়।
প্রকল্প অনুযায়ী, মাঠটিতে উন্নতমানের ম্যাটেরিয়াস ও টেকনোলজি দ্বারা খেলার মাঠ ও ক্রিকেট পিচ নির্মাণ, ইন্টারনাল ও এক্সটারনাল ওয়াকওয়ে নির্মাণ, শিশুদের জন্য আলাদা প্লেইং জোন, পাবলিক টয়লেট, আলাদা চেঞ্জিং রুম, সিটিং অ্যারেঞ্জমেন্ট বেঞ্চ, ক্রিকেট নেট প্র্যাকটিস ব্যবস্থা, চারদিকের বাউন্ডারি ও গ্রিন বেল্ট নির্মাণ করা হবে।
উদ্বোধনের সময় আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘যায়ানের মর্মান্তিক মৃত্যুর পর এলাকাবাসীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ মাঠটি তার নামে রাখা হয়েছে। এ নামকরণ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদ।’ তিনি জানান, নগরবাসীর খেলাধুলা, শরীরচর্চা ও বিনোদনের জন্য ডিএনসিসির ২৬টি পার্ক ও খেলার মাঠের সংস্কার কাজ খুব দ্রুত শেষ হবে। এর মধ্যে চারটি পার্কের সংস্কার কাজ প্রায় শেষের দিকে।
ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানে শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, সাম্প্রদায়িকতার বাড়াবাড়ির কারণে যায়ানকে প্রাণ দিতে হয়েছে।