উদ্ধারের পর ইয়াবা বিক্রি করতে গিয়ে ধরা খেলো ৫ পুলিশ সদস্য





পুলিশউদ্ধারের পর ইয়াবা বিক্রি করতে গিয়ে ধরা খেয়েছে পুলিশের ৫ সদস্য। রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) গ্রেফতারের পর তাদের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
তারা হলো গুলশান থানার এএসআই মাসুদ আহমেদ মিয়াজি, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের নায়েক জাহাঙ্গীর আলম (২৭), কনস্টেবল প্রশান্ত মন্ডল (২৩), কনস্টেবল রনি মোল্লা (২১) ও কনস্টেবল শরীফুল ইসলাম (২৩)। তাদের কাছ থেকে ৫২২ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান বলেন, গ্রেফতারের পর পুলিশের ৫ সদস্যকে রিমান্ডে আনা হয়েছে। তাদের অন্য সহযোগীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার ১ নং আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের একটি দল জানতে পারে, ১ নং ব্যারাক ভবনের চতুর্থ তলার বাথরুমে পুলিশের কয়েকজন সদস্য ইয়াবা ভাগ-বাঁটোয়ারা করছে। পরে সেখানে অভিযান চালিয়ে প্রথমে প্রশান্ত, রনি ও শরীফুলকে আটক করা হয়। শরীর তল্লাশি করে প্রশান্তের পকেট থেকে ১৫৮ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে তার কাছে আরও ইয়াবা থাকার কথা স্বীকার করে। পরে তার কক্ষ থেকে আরও ৩৯৪ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এছাড়া শরীফের কাছ থেকে ইয়াবা বিক্রির ১৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কনস্টেবল প্রশান্ত জানায়, গত ১১ সেপ্টেম্বর গুলশানের গুদারাঘাট এলাকায় চেকপোস্ট পরিচালনা করার সময় সে একজন মোটরসাইকেল আরোহীর কাছ থেকে ইয়াবা উদ্ধার করে। পরে টাকার বিনিময়ে তাকে ছেড়ে দেয় সে। উদ্ধার ইয়াবার মধ্যে ২০০ পিস ইয়াবা গুলশান থানার এএসআই মাসুদ আহমেদ মিয়াজী নিজের কাছে রেখে দেয়। নায়েক জাহাঙ্গীর আলম রাখে ১৫০ পিস। এসব ইয়াবা তারা মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেছে বলে জানা গেছে।
উত্তরা পূর্ব থানার পুলিশ জানায়, গ্রেফতার ৫ জনের মধ্যে কনস্টেবল প্রশান্ত মন্ডল, এএসআই মাসুদ আহমেদ মিয়াজী ও নায়েক জাহাঙ্গীর আলমকে ৩ দিনের এবং বাকি দুজন রনি মোল্লা ও শরিফুল ইসলামকে ২ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।