রংপুরের কারমাইকেল কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে হাইকোর্টের রুল

সুপ্রিম কোর্ট

দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে রংপুরের কারমাইকেল কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচন না দেওয়ার ব্যার্থতা কেন বেআইনী ঘোষণা করা হবেনা, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সচিব, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য্য ও রেজিস্ট্রার, কারমাইকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষকে ওই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এ সংশ্লিষ্ট রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো.খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল জারির আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এ এইচ ইমাম হাসান ভূইয়া। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত।

এর আগে গত ৩০ আগস্ট কারমাইকেল কলেজের পাঁচ শিক্ষার্থী ছাত্র সংসদ নির্বাচন চেয়ে রিট দায়ের করে। সে রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করলেন।

রিটে দাবি করা হয়, উত্তরের অক্সফোর্ড খ্যাত কারমাইকেল কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক, সম্মান, পাস কোর্স ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ২৫ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী বিভিন্ন বিষয়ে অধ্যয়ন করে। ছাত্র নেতৃত্ব বিকাশে ঐতিহ্যবাহী এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১৯৯০ সালে শেষবারের মতো ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়। পরবর্তীকালে ছাত্র সংসদ ভেঙে দেওয়ার পর আর নির্বাচন হয়নি। যখন যে দলীয় সরকার ক্ষমতায় এসেছে, সেই দলীয় শিক্ষার্থীদের সংগঠন ও স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতাদের হস্তক্ষেপের কারণে ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করা সম্ভব হয়নি। ছাত্র সংসদের ক্ষমতা অন্য রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনের হাতে চলে যাবে- এমন আশঙ্কায় ছাত্র সংগঠনগুলো নির্বাচনের বিরোধিতা করে এসেছে। ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হওয়ার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দখলদারিত্বের সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার পরিবেশও বিঘ্নিত হচ্ছে।