বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল থেকে এ অভিযান শুরু হয়েছে।
র্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারোয়ার আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আমরা ক্লাবটিতে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালাচ্ছি। তিনি জানান, ক্লাবের ভেতর থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা জব্দ করা হয়েছে। জব্দ করা টাকা গোনা হচ্ছে।
অভিযোগ রয়েছে, যুবলীগের নেতৃত্বে থাকা কয়েকজন শীর্ষ নেতার তত্ত্বাবধানে এ ক্লাবটিতে বানানো ক্যাসিনোতে নিয়মিত জুয়ার আসর বসে। এ বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে বিষয়টি আমলেনেয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
মতিঝিল থানার পাশেই অবস্থিত ফকিরাপুল ইয়ংমেন্স ক্লাবটি ফুটবলসহ বিভিন্ন খেলার জন্য ক্রীড়ামোদীদের কাছে পরিচিত হলেও এই ক্লাবে ক্যাসিনোর আদলে জুয়ার আসর পরিচালনার বিষয়টি স্থানীয়দের ভীষণ বিব্রত করতো।
জানা গেছে, বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর এই ক্লাবের কমিটিতে যুবলীগের কয়েকজন শীর্ষ নেতা অন্তর্ভুক্ত হন। এরপর ক্লাবে তাদের প্রভাব বাড়তেই থাকে। অভিযোগ রয়েছে, ক্লাবের ভেতর নিয়মিত মদপানের আসর বসানোর পাশাপাশি হাউজি খেলা চালু করেন তারা। এরপর এখানে জুয়ার আসর অব্যাহত হারে বাড়তেই থাকে।
রাজধানীর গুলশানে আজ সন্ধ্যায় অস্ত্রসহ গ্রেফতার হওয়া যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ এই ক্লাবের সভাপতি এবং অন্যতম জুয়া পরিচালনাকারী বলে অভিযোগ রয়েছে। এই ক্লাবের চেয়ারম্যান স্থানীয় সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন।
অভিযান পরিচালনার পর ক্লাবটির ক্যাসিনোতে ঢুকে দেখা গেছে, এর ভেতরে রয়েছে মোট নয়টি ক্যাসিনো টেবিল, এরমধ্যে ভিআইপি টেবিল একটি। জুয়ার ফ্ল্যাশ গেম ছয়টি।
র্যাবের ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম জানিয়েছেন, এ ক্যাসিনোটি যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদের নেতৃত্বে পরিচালনা করা হতো।
উল্লেখ্য, শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ‘মনস্টার’ সম্বোধন করে তাদের পদ থেকে বাদ দেওয়ার নির্দেশ দেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সভায় যুবলীগের কিছু নেতার কর্মকাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। এরপর থেকেই যুবলীগের এসব নেতার ব্যাপারে খোঁজ-খবর শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।