মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে রাজধানীর ৩১ নং বানিয়ানগর, ৮৩১ নং লালমোহন সাহা স্ট্রিট ও নারিন্দার ২২১ নং শরৎগুপ্ত রোডে অভিযান চালিয়ে এই বিপুল পরিমাণ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া র্যাব-৩-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল শাফিউল্লাহ বুলবুল জানান, প্রথম অভিযানে এনামুল ও তার ভাই গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুপন ভূঁইয়ার বাসা থেকে তিনটি সিন্দুকে ১ কোটি ৫ লাখ টাকা, ৭৩০ ভরি সোনা ও ৫টি অস্ত্র উদ্ধার করেছে র্যাব।
দ্বিতীয় অভিযানটি চালানো হয় এনামুলের কর্মচারী আবুল কালামের বাসায়। ৮৩১ নং লালমোহন সাহা স্ট্রিটের ওই বাসা থেকে একটি সিন্দুক উদ্ধার করা হয়। সেটিতে ২ কোটি টাকা ও গুলিসহ একটি রিভলভার পেয়েছে র্যাব।
তৃতীয় অভিযানটি চালানো হয় নারিন্দার শরৎগুপ্ত রোডের ২২১ নম্বর বাড়িতে। বাড়িটির দ্বিতীয় তলায় থাকতেন এনামুলের বন্ধু হারুন অর রশিদ। ট্রাকস্ট্যান্ডের এই কর্মচারীর বাসা থেকে প্রায় ২ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
এত বিপুল পরিমাণ টাকার সুনির্দিষ্ট উৎসের তথ্য জানতে না পারলেও ক্যাসিনোর টাকা বলে ধারণা করছেন অভিযান সংশ্লিষ্টরা।
র্যাব-৩-এর অধিনায়ক আরও বলেন, এত টাকা লুকিয়ে রাখার জন্য বেশি জায়গার প্রয়োজন হয়। এজন্য এনামুল তার টাকায় সোনা কিনে রাখতেন। আমরা তার বাসা থেকে ৭৩০ ভরি সোনা উদ্ধার করেছি।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং-এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, র্যাবের কাছে তথ্য ছিল এনামুল ও তার ভাই রুপন ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের অংশীদার। ধারণা করা হচ্ছে ক্যাসিনোর টাকাই তিনি বিভিন্ন সিন্দুকে লুকিয়ে রেখেছিলেন।
এই টাকা, সোনা ও অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।