আ.লীগের ইশতেহার অনুযায়ী দক্ষ জনগোষ্ঠী তৈরি করবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মশালায় বক্তব্য রাখছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন চলমান ও ভবিষ্যতে নেওয়া প্রকল্পের মাধ্যমে দক্ষ ও কর্মঠ জনগোষ্ঠী তৈরি কার্যক্রম চালু করতে যাচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এই কার্যক্রমে শিক্ষার্থী ও স্থানীয় তরুণ-তরুণীদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণ নেওয়াদের সনদও দেওয়া হবে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের নির্বাচনি ইশতেহার অনুযায়ী কর্মসূচি বাস্তবায়নে এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ইস্কাটনে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফতরে নির্বাচিত মাদ্রাসাগুলোর উন্নয়ন প্রকল্প আয়োজিত মাঠ পর্যায়ের প্রকল্প বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা বিষয়ক কর্মশালায় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এসব কথা জানান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের নির্বাচনি ইশতেহার অনুযায়ী শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নির্মিত সব অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্পে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী এবং প্রকল্প এলাকার স্থানীয় তরুণ-তরুণীদের প্রাকটিক্যাল প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।’

উদাহরণ টেনে মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘একটি উন্নয়ন প্রকল্পে রাজমিস্ত্রীর কাজ, ইলেকট্রিক্যাল কাজসহ বিভিন্ন রকমের কারিগরি কার্যক্রম পরিচালিত হয়। একটি প্রকল্প কমপক্ষে এক থেকে দেড় বছর চলে। কোনও শিক্ষার্থী যদি এক থেকে দেড় বছর প্রাকটিক্যাল দক্ষতা অর্জন করে তাহলে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সে দক্ষ হবে। একজন দক্ষ কর্মীকে কারিগরি বোর্ডের মাধ্যমে দুই দিনের প্রশিক্ষণ ও প্রাকটিক্যাল টেস্ট নেওয়া হবে। আর তাদের সার্টিফিকেটও দেওয়া হবে।’

প্রতিটি মাদ্রাসায় ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি এগুলোকে ভোকেশনাল সেন্টারে পরিণত করা হবে জানিয়ে উপমন্ত্রী বলেন, এতে করে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা বেকার থাকবে না। ২০২১ সালের মধ্যে দেশের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কারিগরি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হবে।’

ভবিষ্যতে সরকারের অনুমতি ছাড়া কেউ ব্যক্তি উদ্যোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করতে পারবে না উল্লেখ করে উপমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কোমলমতি শিশুদের আমরা অনিবন্ধিত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের হাতে ছেড়ে দিতে পারি না।’

মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক সফিউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব মুনশী শাহাবুদ্দিন আহমেদ, কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মাশুক মিয়া ও জাকির হোসেন, কারিগরি অধিদফতরের মহাপরিচালক রওনক মাহমুদ, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের  চেয়ারম্যান ড. মো. মোরাদ মোল্ল্যা।