যতটা সম্ভব দুদক ততটাই করবে: ইকবাল মাহমুদ





তথ্যের সঠিক বিশ্লেষণই অপরাধীদের অপরাধ চিহ্নিত করার প্রাথমিক সোপান বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।
যুক্তরাষ্ট্রের জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট ও ইউএনওডিসি’র আয়োজনে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশ নেওয়া দুদক কর্মকর্তাদের সঙ্গে ‘নলেজ শেয়ারিং সেশন’-এ দুদক চেয়ারম্যান এ মন্তব্য করেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ সেশনে ইকবাল মাহমুদ আরও বলেন, ‘আমরা অনেক কিছুই করতে পারি কিন্তু করি না, এটা হতে পারে না। এর সমাপ্তি হওয়া উচিত।’
তিনি বলেন, অভিযোগ অনুসন্ধান বা তদন্তের জন্য কোনও সংস্থার কাছে তথ্য চাওয়া হয়। তারা যদি তা সরবরাহ না করে, তাহলে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুদক আইন অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া সমীচীন বলে মনে করে দুদক।
দুদক কর্মকর্তাদের উদ্দেশে ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘আপনারা শুধু চিঠি দিয়ে বসে থাকবেন, এটাও হবে না। আপনাদের ফরোয়ার্ড ডায়েরি অনুসরণ করতে হবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে আপনাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অনুষ্ঠানে দুদক কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান বলেন, ‘আমরা ডিজিটাল যুগে বসবাস করছি। তাই অপরাধীদের চেয়ে আমাদের অধিকতর জ্ঞান অর্জনের বিকল্প নেই। পরিবর্তিত বিশ্বব্যবস্থায় আইনের সর্বোচ্চ নিখুঁত প্রয়োগের মাধ্যমে অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত, মহাপরিচালক (তদন্ত) মো. মোস্তাফিজুর রহমান, মহাপরিচালক (মানি লন্ডারিং) এ এন এম আল ফিরোজ, মহাপরিচালক (প্রশাসন) মো. জহির রায়হান ও মহাপরিচালক (প্রশিক্ষণ ও আইসিটি) এ কে এম সোহেল।