২০১৮ সালের তুলনায় এবছর শিশু ধর্ষণ বেড়েছে ৪১ শতাংশ

শিশু নির্যাতন দমন বিষয়ে দুটি সংগঠনের সংবাদ সম্মেলন

২০১৮ সালের তুলনায় এ বছরের প্রথম ছয় মাসে দেশে শিশু ধর্ষণ বেড়েছে ৪১ শতাংশ বলে জানিয়েছে অ্যাকশন ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট এএসডি ও বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরাম।

রবিবার (৬ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংগঠন দুটির কর্মকর্তারা জানান, শিশু হত্যা, ধর্ষণ ও গৃহকর্মী শিশুর ওপর অত্যাচার বেড়েই চলছে। বিশেষ করে ধর্ষণের ঘটনা অনেকাংশে বেড়ে গেছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ৪৯৬ জন শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে, যা গত বছর ছি‌ল ৫৭১ জন।

সংবাদ সম্মেলনের মূল বক্তব্যে এএসডি ডিসিএইচআর প্রজেক্টের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ইউকেএম ফারহানা সুলতানা বলেন, শিশু ধর্ষণ বৃদ্ধির কারণ মূলত নির্যাতন করার পরও অপরাধীদের আইনের আওতায় না আসা। ফলে একের পর এক শিশু ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। আইন থাকলেও তা উপেক্ষিত হচ্ছে। এছাড়াও মামলা হলে যে চার্জশিট দেওয়া হয়, তাতে আইনের ফাঁকফোকর থাকে।

তিনি আরও বলেন, আইনের ধীর গতির কারণে ও বিচার প্রক্রিয়া বিলম্বিত হওয়ায় অপরাধীরা জামিন নিয়ে বেরিয়ে পড়ে। আর আসামিরা প্রভাবশালী হলেই তো কোনও কথাই নেই। বিচার প্রক্রিয়া আরও সংকটে উপনীত হয়। কখনও কখনও প্রভাবশালীদের চাপে নির্যাতিতরা সমঝোতায় যেতে বাধ্য হয়।

ফারহানা বলেন, অনেক ক্ষেত্রে ধর্ষণের ঘটনা যখন ঘটে, তখন শিশুর অভিভাবকরা সম্মান হারানোর ভয় এবং প্রভাবশালীদের চাপে পড়ে মামলা করে না। কোনও কোনও ক্ষেত্রে দরিদ্র অভিভাবকের পক্ষে দীর্ঘদিন মামলা চালিয়ে নেওয়া সম্ভব হয় না। সামগ্রিক কারণে সমাজে শিশু ধর্ষণের ঘটনা বেড়েই চলেছে।

এ সময় তিনি শিশু ধর্ষণ শিশুশ্রম থেকে শিশুদের মুক্ত করার জন্য দেশের সকল মানুষ, আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীসহ সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন এইচডি নির্বাহী পরিচালক জামিল এইচ চৌধুরী, বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের পরিচালক আব্দুস শহীদ মাহমুদ প্রমুখ।