অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা যান আবরার: ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন





আবরার ফাহাদপেটানোর কারণেই অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও ব্যথায় মারা গেছেন বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ। সোমবার (৭ অক্টোবর) মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে এ তথ্য জানান ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সোহেল মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘ময়নাতদন্তকালে যে ইনজুরি আমরা দেখেছি, তাতে তার সারা শরীরে মারের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এই আঘাতেই তিনি মারা গেছেন।’
সোহেল মাহমুদ বলেন, ‘আঘাতগুলো দেখে তাকে ভোঁতা কোনও কিছু দিয়ে মারা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে আন্দাজ করা যাচ্ছে। বাঁশ বা ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্প হতে পারে।’
এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘মরদেহের হাত, পা ও পিঠে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। কপালে ছোট একটা আঘাতের চিহ্ন ছিল। তবে সেটি বিশেষ কিছু না।’
উল্লেখ্য, ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেওয়ার জের ধরে আবরার ফাহাদ (রাব্বি)-কে রবিবার (৬ অক্টোবর) রাতে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন।