ছাত্র রাজনীতি বন্ধে আরপিও’র বাস্তবায়ন চায় সুজন

sujon-logo

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার চেয়েছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)।  বুধবার (৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি এম হাফিজউদ্দিন খান ও সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার এ দাবি জানান।

বিবৃতিতে তারা বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে ফেসবুকে নিজের রাজনৈতিক মত প্রকাশ করার জন্য নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করার ঘটনায় সারাদেশের মানুষ এখন স্তব্ধ এবং ক্ষুব্ধ।

আবরার হত্যাকাণ্ডের জন্য বুয়েট প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দোষারোপ করে সুজনের দুই কর্তা বলেন, মায়ের বুক খালি করে আবরারের চিরতরে চলে যাওয়ার পেছনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও দায় এড়াতে পারে না বলে আমরা মনে করি।

ছাত্রদের স্বার্থ বাদ দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর লেজুড়বৃত্তিতে লিপ্ত হওয়ায় ছাত্র রাজনীতি এখন শুধুই ক্ষমতা চর্চার জায়গায় পরিণত হয়েছে, বিবৃতিতে এমন মন্তব্য করে সুজনের দুই শীর্ষ দায়িত্বশীল দাবি করেন, আমরা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২ এ উল্লেখিত ছাত্র সংগঠনগুলোকে রাজনৈতিক দলগুলোর অঙ্গ সংগঠন হিসাবে ব্যবহার না করার বিধান অবিলম্বে বাস্তবায়ন করে ছাত্রদের অধিকারভিত্তিক গৌরবোজ্জ্বল ছাত্র রাজনীতি ফিরিয়ে আনার পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানাই।

আবরারের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলমান বিক্ষোভের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেন সুজনের দুই শীর্ষ কর্তা।

এম হাফিজউদ্দিন খান ও ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, অতিসত্বর দোষীদের শাস্তির আওতায় এনে এধরনের ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না হয়, সে ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাচ্ছি। নাগরিক সংগঠন হিসেবে সুজন মনে করে, সব নাগরিকের ভিন্নমত ধারণ এবং তা প্রকাশ করার স্বাধীনতা রয়েছে। কোনোভাবেই কেউ যেন তাতে বাধা সৃষ্টি করতে না পারে তা নিশ্চিত করতে হবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, দেশে বিদ্যমান বিচারহীনতার সংস্কৃতির অবসান করতে হবে, যাতে এ ধরনের ঘটনা ঘটাতে কেউ আর সাহস না পায়। বিৃবতিতে ‘সুজন’-এর পক্ষ থেকে নিহত আবরারের পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা জানানো হয়।