বৃহস্পতিবার বঙ্গোপসাগরে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারতীয় নৌবাহিনীর যৌথ টহল

বাংলাদেশ নৌবাহিনীর দুটি যুদ্ধজাহাজ। ছবি: আইএসপিআর

বঙ্গোপসাগরে দুই দেশের সমুদ্রসীমার নির্ধারিত এলাকায় দ্বিতীয়বারের মতো শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারতীয় নৌবাহিনীর জাহাজ ও টহল বিমানের (মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট) অংশগ্রহণে তিন দিনের যৌথ টহল। আগামী বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) থেকে এই টহল শুরু হয়ে ১২ অক্টোবর (শনিবার) পর্যন্ত ভারতের বিশাখাপত্তমে পৌঁছে শেষ হবে। এ টহলে অংশগ্রহণের উদ্দেশে নৌবাহিনীর দুটি যুদ্ধজাহাজ বানৌজা ‘স্বাধীনতা’ ও ‘আলী হায়দার’ বুধবার (৯ অক্টোবর) খুলনার মংলা নৌ জেটি ত্যাগ করেছে।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) জানায়, মংলা নৌ জেটি ত্যাগের আগে নৌবাহিনীর ঐতিহ্যবাহী রীতি অনুযায়ী সুসজ্জিত বাদকদল বাদ্যযন্ত্র পরিবেশনের মাধ্যমে তাদের বিদায় জানায়। এ সময় খুলনা নেভাল এরিয়ার কমান্ডার রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা, কমান্ডার ফ্লোটিলা ওয়েস্টসহ স্থানীয় নৌ কর্মকর্তা, নাবিক এবং জাহাজে গমনকারী কর্মকর্তা ও নাবিকদের পরিবার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

যৌথ এ টহলে নৌবাহিনীর দুটি যুদ্ধজাহাজ ও ভারতীয় নৌবাহিনীর দুটি যুদ্ধজাহাজ ও এমপিএ অংশগ্রহণ করবে। যাত্রাপথে দুই দেশের মধ্যে একটি যৌথ মহড়া অনুষ্ঠিত হবে। নৌবাহিনী যুদ্ধজাহাজ দুটি বিশাখাপত্তমে পৌঁছে যৌথ টহল সংক্রান্ত বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবে।

সমুদ্র এলাকায় অবৈধভাবে মৎস্য আহরণ, চোরাচালান ও মানবপাচার, জলদস্যুতা ও সন্ত্রাসবাদ এবং মাদক পাচারসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নিরসনে এ যৌথ টহল পরিচালিত হবে। দু’দেশের এই যৌথ টহল বঙ্গোপসাগরে নিজ নিজ জলসীমায় সমুদ্র বিষয়ক অপরাধ সম্পর্কিত তথ্য আদান-প্রদান, তথ্যাদির সঠিক ব্যবস্থাপনা, সমুদ্রপথে অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনাকারী জাহাজসমূহ চিহ্নিতকরণ ও বিভিন্ন অপরাধ নিরসনকল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এই পদক্ষেপ আঞ্চলিক সমুদ্র নিরাপত্তা রক্ষা, সমুদ্র নিরাপত্তার ঝুঁকি মোকাবিলা ও সমুদ্র অর্থনীতির উন্নয়নে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে আশা করা যায়। যৌথ এ টহল শেষে যুদ্ধজাহাজ দুটি আগামী ১৮ অক্টোবর দেশে ফিরে আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে।