২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট দুপুরে রিশাকে ছুরিকাঘাত করা হয়। এরপর তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৮ আগস্ট তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় রিশার মা তানিয়া হোসেন বাদী হয়ে রমনা থানায় মামলা করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের শুরুর দিকে ইস্টার্ন মল্লিকা শপিং কমপ্লেক্সের বৈশাখী টেইলার্সে পোশাক বানাতে দেয় রিশা। ওই টেইলার্সের রসিদে বাসার ঠিকানা ও তার মায়ের মোবাইল নম্বর দেওয়া ছিল। সেখান থেকে মোবাইল নম্বর নিয়ে টেইলার্সের কাটিং মাস্টার ওবায়দুল খান (২৯) রিশাকে উত্ত্যক্ত করা শুরু করে। পরে ফোন নম্বরটি বন্ধ করে দিলে স্কুলে যাওয়ার পথে রিশাকে উত্ত্যক্ত করতে থাকে সে। তার প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় রিশাকে ছুরিকাঘাত করে ওবায়দুল খান।
২০১৬ সালের ১৪ নভেম্বর মামলার তদন্ত শেষে ওবায়দুল খানকে একমাত্র আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার পুলিশ পরিদর্শক আলী হোসেন। এর পরের বছর ১৭ এপ্রিল আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। মামলায় ২৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ২১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: উইলস লিটল ফ্লাওয়ারের সেই ছাত্রী মারা গেছে
যে সেলফি এখন শুধুই স্মৃতি
এ কান্নার জবাব কী?
রিশা হত্যার দায় স্বীকার ওবায়দুলের
রিশার ঘাতক ওবায়দুলের ফাঁসির দাবিতে রাস্তায় শত শত শিক্ষার্থী