অন্য দুই আসামি হলেন হিলফুল ফুযুলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কবির আহম্মদ তালুকদার ও প্রধান নির্বাহী নুরুল হক বিশ্বাস।
আসামিদের বিরুদ্ধে ইডকলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে এজেন্ট বা প্রতিনিধি হিসেবে পরষ্পর যোগসাজশে প্রতারণামূলকভাবে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে।
দুদক উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য জানান, দণ্ডবিধির ৪০৯, ৪২০, ১০৯ ধারাসহ মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২-এর ৪ (২) ও (৩) ধারায় মামলাটি হয়েছে।
দুদক জানায়, ইডকল বিভিন্ন বিদেশি দাতা বা সাহায্যকারী সংস্থার কাছ থেকে ঋণ নেয় এবং ওই ঋণ থেকে পরবর্তীতে স্বল্প সুদে ও স্বল্প জামানতে এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর তালিকাভুক্ত এনজিওদের ঋণ দেয়। এর অংশ হিসেবে ২০০৬ সালের ১ আগস্ট দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সোলার প্যানেল স্থাপন করে বিদ্যুৎ বিতরণের জন্য ইডকলের সঙ্গে চুক্তি করে হিলফুল ফুযুল। ইডকল ১ লাখ ৩৬ হাজার ১৫৬টি সোলার হোম সিস্টেমের বিপরীতে ১৩৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকা মেয়াদি ঋণ এবং ১৬ কোটি ৪ লাখ টাকা দেয় হিলফুল ফুযুল সমাজকল্যাণ সংস্থাকে। চুক্তির শর্তানুযায়ী ত্রৈমাসিক কিস্তির ভিত্তিতে হিলফুল ফুযুলের ঋণ পরিশোধ করার কথা।
দুদক জানায়, তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, হিলফুল ফুযুল ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আসল ২৫ কোটি ৮ লাখ টাকা ইডকলকে পরিশোধ করেছে। গত বছরের অক্টোবর পর্যন্ত হিলফুল ফুযুলের কাছে ইডকলের পাওনা বাবদ ঋণস্থিতি দাঁড়িয়েছে ১৪৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা।