ব্যবসায়ী মুন্না হত্যা মামলার তদন্তে কোনও অগ্রগতি নেই

ব্যবসায়ী ইয়াসিন আলী মুন্না। ২৪ সেপ্টেম্বর তার মরদেহ উদ্ধার হলেও হত্যার কারণ এখনও অজানা।

ব্যবসায়ী ইয়াছিন আলী মুন্না (৬০) হত্যা মামলা তদন্তের কোনও অগ্রগতি নেই। কারা, কী কারণে এই ব্যবসায়ীকে হত্যা করেছে, হত্যাকাণ্ডের ২৪ দিনেও এর কোনও ক্লু উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তবে নিজস্ব তদন্তের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশেরও সহযোগিতা নেওয়া হচ্ছে বলে জানায় শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ। গত ২৩ সেপ্টেম্বর দুপুর ৩টার পর থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর রাত ২টার মধ্যবর্তী সময়ে তাকে দুর্বৃত্তরা হত্যা করে থাকতে পারে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়। ২৪ সেপ্টেম্বর রাত ২টার সময় পুলিশ রাজধানীর শেরেবাংলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশ থেকে ব্যবসায়ী ইয়াছিন আলী মুন্নার লাশ উদ্ধার করে।

নিহত ব্যবসায়ী ইয়াছিন আলী মুন্নার ভগ্নিপতি ও মামলার বাদী এ কে এম আমানুল্লাহ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, রাজধানীর মিরপুর রোডের মোহাম্মদপুর থানা এলাকার ট্রমা সেন্টারের পাশের ব্লক বি এলাকার ২২/৮ নম্বরে মহানগর সার্জিক্যাল নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। গত ২২ সেপ্টেম্বর বিকাল সাড়ে ৩টায় ইয়াছিন আলী মুন্না তার ভগ্নিপতি ও মামলার বাদীর সঙ্গে বগুড়ায় যান। ওইদিন রাতে তিনি ভগ্নিপতির বাড়িতে অবস্থান করেন। ২৩ সেপ্টেম্বর বিকাল ৩টার দিকে আবার বগুড়া থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। রাত ১১টার দিকে ব্যবসায়ী ইয়াছিন আলী মুন্নার মোবাইল নম্বরে তার বোন ফোন দিয়ে সংযোগ পাননি। ওইদিন রাত ২টার দিকে (২৪ সেপ্টেম্বর) শেরেবাংলা নগর থানার এসআই মো. সুজানুর ইসলাম ব্যবসায়ী মুন্নার মোবাইল নাম্বার থেকে ফোন দিয়ে তার মৃতদেহ উদ্ধারের বিষয়টি জানান। খবর পেয়ে মামলার বাদীসহ স্বজনরা বগুড়া থেকে ঢাকায় শেরেবাংলা নগর থানায় যান। সেখান থেকে তারা শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে গিয়ে মুন্নার লাশ শনাক্ত করেন। তখন তারা মৃতদেহের গলায় আঁচড়ের দাগ দেখতে পান। তাদের ধারণা, অজ্ঞাতনামা আসামিরা ব্যবসায়িক কিংবা আর্থিক দ্বন্দ্ব বা পূর্ব কোনও শত্রুতার কারণে ব্যবসায়ী মুন্নাকে হত্যা করতে পারে। মামলার এজাহারেও এসব বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

ব্যবসায়ি ইয়াছিন আলী মুন্নার (৬০) হত্যাকাণ্ডের তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা ও শেরেবাংলা নগর থানার সাব ইন্সপেক্টর (এসআই) নুরুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমরা এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে চেষ্টা করে যাচ্ছি। হত্যায় জড়িতদের শনাক্তে আমাদের নিজস্ব অনুসন্ধানের পাশাপাশি গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশেরও সহযোগিতা নেওয়া হচ্ছে। শেরেবাংলা নগর থানার ওসি জানে আলম মুন্সি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, তারা চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তবে তদন্তে কোনও অগ্রগতি নেই এখনও। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত কাউকেই এখনও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।