নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের আন্দোলন স্থগিত





bf8066dd43e34fb4384f27d0bf2a213e-5da5a1baefbdfএকযোগে দেশের সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তির দাবিতে শুরু করা আমরণ অনশন কর্মসূচি স্থগিত করেছে নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশন। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) রাতে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির হেয়ার রোডের সরকারি বাসায় বৈঠকের পর এ কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দেন শিক্ষক নেতারা। শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষক নেতাদের শরবত পান করিয়ে অনশন ভাঙান।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, রাতে আন্দোলনরত শিক্ষক নেতাদের তার হেয়ার রোডের বাসায় ডেকে নেন শিক্ষামন্ত্রী। সেখানে বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী নেতাদের শরবত পান করিয়ে অনশন ভাঙান। শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষক নেতাদের দাবি প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, ‘আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো আপনাদের বিষয়টি বিবেচনার জন্য।’ শিক্ষক নেতাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আগামী মাসের দিকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাদের দেখা করানোরও আশ্বাস দেন মন্ত্রী।
বৈঠকে শিক্ষক-কর্মচারীদের পক্ষে ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ ড. বিনয় ভূষণ রায়সহ শিক্ষক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
গত বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ফেডারশনের  কর্মসূচি চলাকালে প্রধানমন্ত্রীর দেখা পাওয়ার জন্য তার কার্যালয়ের দিকে পদযাত্রা শুরু করেন শিক্ষককরা। এ সময় পুলিশ তাদের বাধা দেয়। পরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আবারও অবস্থান নেন তারা। ওই দিন সন্ধ্যায় ভারতে অবস্থানরত শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলে আমরণ কর্মসূচি স্থগিত করান। পরে গত রবিবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী। তবে সেখানে কোনও সমাধান না হওয়ায় শিক্ষকরা আন্দোলন অব্যাহত রাখেন। গতকাল সোমবার (২১ অক্টোবর) থেকে আমরণ অনশন শুরু করেন তারা।
এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠকের সময় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষক নেতারা একযোগে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিও দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তবে পর্যায়ক্রমে যোগ্য প্রতিষ্ঠানকে এমপিও দেওয়া হবে বলে তাদের জানাই। তারা বলেন, হয় একযোগে সবগুলোর এমপিও দিন, না হয় চলমান এমপিও কার্যক্রম বন্ধ রেখে পরে সবগুলোকে একসঙ্গে এমপিওভুক্ত করুন।’ তিনি বলেন, ‘কিন্তু তা তো হতে পারে না। একটি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, সেটি বন্ধ রেখে যোগ্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে মূল্যায়ন না করার কোনও কারণ থাকতে পারে না।’