প্রক্টরকে ক্ষমা চাইতে হবে: ডাকসু সদস্য তানভীর

প্রক্টর সীমা ইসলামের সঙ্গে কথা বলছেন আন্দোলনকারীরা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণরুম সমস্যা সমাধানের দাবিতে ভিসিকে আল্টিমেটাম দেওয়ায় ডাকসু সদস্য তানভীর হাসান সৈকতের ছাত্রত্ব বাতিলের হুমকি দিয়েছিলেন প্রক্টর অধ্যাপক ড.একেএম গোলাম রব্বানী। তার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তানভীর গণমাধ্যমকে মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) জানান, প্রক্টরের এধরনের বক্তব্যের জন্য তাকে ক্ষমা চাইতে হবে৷

সকাল ১০টায় গণরুমের শিক্ষার্থীদের নিয়ে উপাচার্যের বাসভবনে উঠতে গেলে প্রক্টরিয়াল টিমের বাধার  সম্মুখীন হন বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা৷ পরে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন তারা৷ দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত সেখানে অবস্থানের ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা৷ এক পর্যায়ে তারা উপাচার্যকে সরাসরি এসে কথা বলার দাবি জানান৷ কিন্তু উপাচার্য আন্দোলনকারীদের কয়েকজন প্রতিনিধিকে তার কার্যালয়ে ডাকেন৷ তারাও যেতে রাজি হন৷ এরইমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী নারী প্রক্টর অধ্যাপক সীমা ইসলাম কয়েকজন আন্দোলনকারীর পরিচয়পত্র দেখতে গেলে ডাকসু সদস্য তানভীর হাসান সৈকত এবং আন্দোলকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ওই প্রক্টরের বাক-বিতণ্ডা হয়৷ এর জেরে আন্দোলনকারীরা উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন এবং দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবস্থানের কথা ঘোষণা দেন।

ডাকসুর সদস্য তানভীর হাসান সৈকত বলেন, ‘আমি দাবি আদায়ে উপাচার্যের বাসভবনে ওঠার ঘোষণা দিলে প্রক্টর আমার ছাত্রত্ব বাতিলের হুমকি দেন। বঙ্গবন্ধুও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের জন্য আন্দোলন করে বহিষ্কার হয়েছিলেন৷ আমি তাঁরই একজন সৈনিক৷ এধরনের হুমকি দিয়ে আমাকে দমানো যাবে না৷ প্রয়োজনে দাবি আদায়ে বহিষ্কার হবো, তবুও আন্দোলন চালিয়ে যাবো। তবে প্রক্টরের এধরনের বক্তব্যের জন্য তাকে এখানে এসে ক্ষমা চাইতে হবে৷’

এ বিষয়ে সহকারী প্রক্টর সীমা ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি৷'