‘কবিতা শুধু নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর নয়, সমগ্র বিশ্বের বাঙালির’

ঢাকা লিট ফেস্টের প্রথম দিন (৭ নভেম্বর) বাংলা একাডেমির কসমিক টেন্টে ‘কবিতা আড্ডা: এপার ওপার’ শীর্ষক পরিবেশনায় কবি হাবিবুল্লাহ সিরাজীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ওপার বাংলার জনপ্রিয় লেখক কবি মৃদুল দাশগুপ্ত, জহর সেন মজুমদার, গৌতম গুহ রায়, এপার বাংলার কামাল চৌধুরী এবং মোহাম্মফ সাদিক। সেশনের শুরুতে কবি হাবিবুল্লাহ সিরাজী বলেন, ‘কবিতা শুধুমাত্র এপার বাংলা বা ওপার বাংলার মানুষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, কবিতা সমগ্র বিশ্বের সীমাকে ধারণ করে।’

271A5811
তিনি তুলে ধরেন স্বাধীনতা পূর্ববতী ৭০ দশকের কবিতার ভাবার্থ। স্বাধীনতা আন্দোলনের সময়কার কবিতার তাৎপর্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘কবিতা সার্থক তখন, যখন তা জনসাধারণের অন্তরে পৌঁছে যেতে পারে।’
কবি কামাল চৌধুরী বলেন, ‘কবিতা দুই ধরনের, স্বাধীনতার কবিতা ও জনগণের কবিতা কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যপুস্তকে অধ্যয়নরত নির্দিষ্ট কবিতা। সত্তর দশকের কবিতা পত্রপল্লবে বিকশিত হয়েছিল যা জনসাধারণের মধ্যে সহজেই মিশে গিয়েছিল।’
কবি জহর সেন জীবনানন্দ দাশের দুটি পঙতি ‘অদ্ভুত আঁধার এক পৃথিবীতে এসেছে আজ’ ও ‘আবহমানের ভাঁড় এসেছে গাধার পিঠে চড়ে’ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘কবিতা কোনও নির্দিষ্ট কেন্দ্রবিন্দুতে সীমাবদ্ধ নয়, কবিতা ক্রমশ প্রসারিত।’
কবি মৃদুল দাশগুপ্ত বলেন ‘প্রকৃত সাহিত্য সাধনা কবিতার ভাষাকে সমৃদ্ধ করতে পারে। কবিতার কোনও দেশ নেই।’  

কলকাতা লেখকদের যেভাবে আমরা সাদরে গ্রহণ করি, কলকাতা কি এপার বাংলার লেখকদের সেভাবে গ্রহণ করেন কিনা- দর্শকের এমন প্রশ্নের উত্তরে কবি মৃদুল দাশগুপ্ত উদ্যোক্তা ও পুস্তক বিক্রেতাদের প্রচারণা সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরেন। জায়গার কথা বলেছেন। তিনি মনে করেন, বিপণন আর প্রচারণার সীমাবদ্ধ জায়গা থেকে এগিয়ে আসলেই কবিতা ও কবিদের উৎকর্ষ সাধন হবে। এছাড়াও তরুণ কবিদের সাধনা করার পরামর্শ দেন তিনি।