একজন গল্পকথকের গল্প

ঢাকা লিট ফেস্টে কবি শামসুর রহমান অডিটোরিয়ামে বিকাল ৪টায় অনুষ্ঠিত হলো সেশন ‘দ্য স্টোরিটেলার।’ স্টোরিটেলার বা গল্পকথক জেইন ব্লেকের সঙ্গে উপস্থাপনায় ছিলেন টেরিসা আলবার। জেইন তার গল্পকথক হয়ে ওঠার পেছনের গল্প বলেন দর্শকদের জন্য।  

IMG_1690
জ্যামাইকাতে জন্মগ্রহণ করেন জেইন। বয়স যখন ৩ বছর তখন পরিবারের সঙ্গে পাড়ি জমান ইংল্যান্ডে। কিন্তু জ্যামাইকার নিয়ম হচ্ছে পরিবারের বড় সন্তানকে বড় হতে হয় নানীর কাছে। সেই নিয়ম অনুযায়ী  পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে বড় বোনকে জ্যামাইকাতেই রেখে আসতে হয় নানীর কাছে।
২২ বছর বয়সে তিনি ম্যানচেস্টার থেকে জ্যামাইকাতে আসেন। এসেই সিদ্ধান্ত নেন যে, তিনি গল্পকথকই হবেন। এই ২২ বছরে তিনি কখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি যে তিনি কী হতে চান জীবনে। কিন্তু কেন হঠাৎ এমন সিদ্ধান্ত? জেইন জানান, নানীর গল্প বলার অসাধারণ ক্ষমতায় তিনি মুগ্ধ হয়ে পড়েন। সবাইকে গল্প বলে মন্ত্রমুগ্ধ করে ফেলার এই গুণ তাকে প্রবলভাবে আকৃষ্ট করে।  
মূলত আফ্রিকান ফোক, ক্যারাবিয়ান ও অ্যারাবিয়ান গল্পকথক হিসেবেই রয়েছে জেইনের খ্যাতি। নানীর পাশাপাশি বাবার অনুপ্রেরণার কথাও স্মরণ করলেন এই গল্পকথক। ‘আমার বাবা ছিলেন কিং অব ব্যাড জোকস। তিনি আমাকে সব সময় পত্রিকার নিউজগুলো হাইলাইট করে শুনাতেন আর কৌতুক বলছেন এমন ভঙ্গিতে হো হো করে হাসতেন। আমি অবাক হয়ে শুনতাম’- বলেন জেইন ব্লেক।  
কিছুদিন আগে জেইন ‘হেই ফেস্ট’ এ গল্প বলে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেন। ইউটিউবভিত্তিক জনপ্রিয় শো ‘টেডএক্সও’ এ তিনি স্টোরিটেলিং নিয়ে কথা বলেছেন। গল্প বলাতেই জেইনের আনন্দ। আর এই আনন্দই আত্নাকে তুষ্ট করে বলে বিশ্বাস করেন এই গল্পকথক