প্রত্যেক চরিত্রেরই আলাদা অক্ষ থাকে: নাদিম জামান



SAZZ0471‘একটি সত্য ঘটনায় প্রচুর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ চরিত্র থাকে, তাদের প্রত্যেকের আবার আলাদা আলাদা গল্প থাকে। আলাদা অক্ষ থাকে। এগুলোকে সুন্দরভাবে সাজানো গেলেই সব গল্প মিলে একটি উপন্যাসে রূপ নেয়।’ ঐতিহাসিক উপন্যাস নিয়ে নিজের ভাবনা এভাবেই বর্ণনা করেন লেখক নাদিম জামান।

ঢাকা লিট ফেস্ট ২০১৯-এর দ্বিতীয় দিন শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বাংলা একাডেমির আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদ অডিটোরিয়ামে ‘ইন দ্য টাইম অব দ্য আদারস’ শিরোনামের সেশনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এই আমেরিকান লেখক। সেখানে সঞ্চালক রিফাত মুনিম ঐতিহাসিক উপন্যাস লেখার ক্ষেত্রে তার ভাবনা জানতে চান।
‘ইন দ্য টাইম অব দ্য আদারস’ নাদিম জামানের প্রকাশিত প্রথম উপন্যাস, যার প্রেক্ষাপট বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ। এই ঐতিহাসিক উপন্যাসের চরিত্র ইমতিয়াজের ১৯৭১ সালের মার্চে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিয়ে আলোচনা হয় এই সেশনে। নাদিম জামান বলেন, সত্য ঘটনার অনুপ্রেরণায় কিছু চরিত্র সৃষ্টির মাধ্যমে বাংলাদেশে স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত মানুষগুলোর বাইরেও সাধারণ মানুষ কীভাবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ দেখেছে এবং সেসময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সদস্য এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের জীবন কেমন ছিল, সেসব ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এ উপন্যাসে।
উপন্যাসের শিরোনাম ‘ইন দ্য টাইম অব দ্য আদারস’ নামকরণের পেছনে অনুপ্রেরণা কী ছিল? দর্শকসারিতে উপস্থিত ঢাকা ট্রিবিউনের সম্পাদক জাফর সোবহানের এমন প্রশ্নের জবাবে নাদিম বলেন, “যেহেতু উপন্যাসে বর্ণিত ‘আদারস’ বা অন্যরাই এখানে মুখ্য, যুদ্ধকালীন তাদের গল্পগুলো, তাদের সময়টাই উপন্যাসের মূল উপজীব্য, তাই তাদের প্রতি খেয়াল রেখেই এমন নামকরণ।”
নতুন ঔপন্যাসিক বা গল্পকারদের প্রতি কোনও পরামর্শ আছে কিনা জানতে চাইলে নাদিম বলেন, ‘পড়ো, পড়ো এবং পড়ো। তারপরেই লেখো। লেখার জন্য কোনও অজুহাত দিও না। লেখায় ভাটা পড়ার জন্য দায়ী একমাত্র লেখকই। তাই কোনও অজুহাত/পারিপার্শ্বিককে প্রাধান্য না দিয়ে লিখে যাও। কিন্তু অবশ্যই আগে পড়ো। অনেক বেশি পড়ো।’