রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক বলেন, আমি এই ডকুড্রামা করতে গিয়ে কোনও চাপ পাইনি। আমি খুবই উৎফুল্ল ছিলাম এটি নির্মাণ নিয়ে। আমি এটা করতে চেয়েছি, কারণ আমি কখনও আমার নানাকে দেখিনি। আমি স্কুলে পড়ার সময় বইতে তার বিষয়ে পড়েছি । আমি খুব কাছে থেকে দেখে থাকলে দেখেছি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে, যিনি আমার খালা হন। আমি চেয়েছি মানুষ তার ব্যক্তিত্বের সঙ্গে পরিচিত হোক। তিনি কিসের মধ্যে দিয়ে জীবন অতিবাহিত করেছেন তা দেখুক।
নির্মাতা পিপলু আর খান এসময় বলেন, আমার শিক্ষক আমাকে শিখিয়েছিলেন প্রতিটি নির্মাণেই ভুগতে হয়। আমিও ভুগেছি এবং এটাই আমার কাজ। পুরো শুটিং শেষ করার পরও জানতাম না কি তৈরি করেছি। যখন ৩ মিনিটের একটি ট্রেলার বানালাম, তখন দেখে মনে হলো, না আসলে কিছু হচ্ছে। পাঁচ বছর লেগেছে আমাদের কাজটি শেষ করতে।
ডকু ড্রামাটির সঙ্গীত নির্মাতা দেবজ্যোতি মিশ্র বলেন, আমাকে পিপলু জানালো যে পান্নালালের গাওয়া আমার সাধ না মিটিল গানটি লোকসংগীতের মতো তৈরি করতে হবে। তখন আমি তাকে গানটি খালি গলাতেই লোকজ সুরে গেয়ে শুনাই। সে শুনে আমাকে বললো, আমার এটাই লাগবে। অন্য কেউ না আপনি গাইবেন। এরপর আমরা গানটি করি।
তিনি আরও বলেন, আমরা ভারতে থেকে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অনেক কথা শুনেছি। হয়তো এর মধ্যে একটি নয় অনেক গল্পই ছিল। আপনারা সবাই কিন্তু নিজের গল্প নিজেই তৈরি করতে পারেন। তার মধ্যে একটি সেরা গল্প নিয়ে সিনেমা নির্মাণ করা উচিত। আমি জীবনে অনেক সঙ্গীতের মধ্যে অনেক কাজ করেছি অনেক সময় দিয়েছি। আমার কাছে মনে হয় এই ডকুড্রামাটি আমার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছিল। আমার আবেগ, আমার আগ্রহ, আমার সবকিছুই এর মধ্যে ছিল।