শুক্রবার (৮ নভেম্বর) ঢাকা লিট ফেস্টের দ্বিতীয় দিনে আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে ‘শেখ মুজিব: আইকন অব পোস্ট-কলোনিয়াল লিবারেশন’ শীর্ষক আলোচনায় এমনটাই বলেন ভারতীয় লেখক ও রাজনীতিক শশী থারুর।
তিনি বলেন, দেশভাগের পরবর্তী ব্যবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এমন একজন নেতা হিসেবে আবির্ভুত হলেন, সেই নেতা সেই ব্যবস্থায় একমাত্র ছিলেন যিনি কিনা জাতীয় পরিচয়ের গুরুত্ব অনুধাবন করতে পেরেছিলেন। অনেক সংগ্রামের মাধ্যমে সেসময় তার ভিশনের মধ্যে ছিল স্বাধীন একটি রাষ্ট্রের চিন্তা, যা বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশের অনুপ্রেরণা জাগায়। মুজিবের চারটি মূলনীতি আসলেই বারবার কাজ করেছিল। জাতীয়তাবাদকে তিনি আসলেই বাঙালি জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র এবং গণতন্ত্রকে বুঝাতে চেয়েছিলেন। তিনি এই বিষয়গুলো নিয়ে জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত সংগ্রাম করে গেছেন। এই চারটি মূলনীতি তার ধারণার মধ্যে সবসময় ছিল যা ঔপনিবেশিক কাল পরবর্তী ব্যবস্থার সঙ্গে খুবই প্রাসঙ্গিক ছিল।
এসময় আলোচনায় আরও অংশ নেন-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক ও লেখক আফসান চৌধুরী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল চৌধুরী। আলোচনা সঞ্চালনা করেন ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের উপ উপাচার্য অধ্যাপক সামসাদ মর্তুজা।
আফসান চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু নিজে মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে এসেছিলেন। এজন্য তিনি সাধারণ মধ্যবিত্তদের বিষয়গুলো ভালোভাবে বুঝতেন। একইসঙ্গে কোন বিষয়কে কীভাবে উপস্থাপন করতে হবে, সেটি তিনি খুব ভালোভাবে বুঝতেন, যা অন্য অনেক নেতা সেভাবে বুঝতেন না। এই জায়গা থেকে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের একটি বড় সাপোর্ট পেয়েছেন বঙ্গবন্ধু এবং সেটিকে তিনি সফলভাবে ব্যবহার করেছেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী পালন নিয়ে কামাল চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু রাজনীতির কবি। তাকে এই উপাধি বাঙালিরা দেয়নি, দিয়েছে বিশ্ব। আর এই বিশ্ব নেতার শততম জন্মবার্ষিকী শুধু দেশেই নয়, আন্তর্জাতিকভাবে পালন করা হবে।
ছবি: সাজ্জাদ হোসেন