‘প্রযুক্তি নয়, পরিবারই শিশুশিক্ষার প্রধান মাধ্যম’

ঢাকা লিট ফেস্টের তৃতীয় ও শেষ দিন সকালে লনে রিভাইভিং দ্য আর্ট অব স্টোরিটেলিং’ শীর্ষক শিশুতোষ আলোচনায় মাদিহা মোরশেদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ব্রিটিশ চিত্রকর ও অ্যানিমেটর কার্টিস জবলিং, চাইল্ড স্পেশালিস্ট ফ্রান হুরলি, নিউরোসায়েন্টিস্ট নাইলা জামান খান এবং সাজিয়া জামান।

72202504_2430941980494935_3267659123646267392_n
‘চাইল্ড কেয়ারিং অ্যান্ড চাইল্ড ল্যাংগুয়েজ ডেভেলপমেন্ট' ছিল আলোচনার মূল বিষয়। শিশুদের শিক্ষা দিন দিন প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে পড়ছে। শিশুদের বিকাশ ঠিক মতো ঘটছে না। এ প্রসঙ্গে, কার্টিস জবলিং বলেন, একমাত্র পরিবারই শিশুকে গল্প শুনিয়ে আনন্দময় শিক্ষা দিতে পারে যা তার সঠিক মানসিক বুদ্ধিবৃত্তিতে সাহায্য করবে। শিশুদেরকে গৎবাঁধা বই হাতে ধরিয়ে না দিয়ে, খেলাচ্ছলে কল্পনানির্ভর শিক্ষা দেওয়া উচিৎ বলে তিনি মনে করেন। একমত হয়ে, ফ্রান হুরলি বলেন, ‘প্রযুক্তি নয়, পরিবার শিশুশিক্ষার প্রধান মাধ্যম।’
সাজিয়া জামান ও নাইলা জামান খান ‘চাইল্ড ল্যাংগুয়েজ’ নিয়ে বলেন, আজকাল শিশুদের বইগুলোতে কঠিন শব্দ ও ব্যাখ্যা ব্যবহার করা হচ্ছে যা সঠিক নয়। শিশুতোষ বইয়ের ভাষা বয়সভিত্তিক হওয়া উচিৎ।’
দর্শক সারি থেকে শিশু সংগঠনের একজন শিক্ষক জানতে চান, শিশুদের মানসিক উন্নতিতে পিতামাতার ভূমিকা কি হতে পারে? উত্তরে কার্টিস জবলিং বলেন, ‘পিতামাতা শিশুদেরকে সর্বোচ্চ সময় দেবে, প্রযুক্তি ধরিয়ে দেবে না শিশুকে। এতে করেই শিশুর সঠিক বিকাশ সম্ভব।’