গেটেলম্যানের বইয়ে ‘কালো’ আফ্রিকার বহুবর্ণিল জীবন

১১১১১১১১১১১১১১১১ঢাকা লিট ফেস্টের নবম আসরের শেষ দিন শনিবার (৯ নভেম্বর) বাংলা একাডেমির আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদ অডিটোরিয়ামে পুলিৎজার পুরস্কারপ্রাপ্ত সাংবাদিক জেফরি গেটেলম্যান তার বই ‘লাভ, আফ্রিকা: আ মেমোয়ার অব রোমান্স, ওয়ার অ্যান্ড সারভাইভাল’ নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন। ‘লাভ, আফ্রিকা’ শীর্ষক সেশনটি সঞ্চালনা করেন জাফর সোবহান।
জেফরি গেটেলম্যান জানান, আফ্রিকা থাকাকালীন তার দশ বছরের অভিজ্ঞতার নির্যাস এই বই। তিনি নিউইয়র্ক টাইমসের পূর্ব আফ্রিকা বিষয়ক ব্যুরো-প্রধান ছিলেন। কলেজে থাকার সময়ও তিনি কখনও সাংবাদিক হবেন— এমনটা ভাবেননি। হঠাৎ করে আফ্রিকায় চলে যাবেন। চাকরির জন্য তার কলেজজীবনের প্রেমিকার সঙ্গে বার বার যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। তবে পরে সেই প্রেমিকাকেই বিয়ে করে তিনি আফ্রিকায় পাড়ি জমান।
জেফরি গেটেলম্যান বলেন, ‘আফ্রিকায় পরিবারসহ থাকাটা সবসময় নিরাপদ ছিল না। সোমালিয়ায় যেকোনও মুহূর্তে অপহরণ হওয়ার ভয় ছিল। কিন্তু আমার স্ত্রী এবং আমি আমাদের পুরো সময়টাতে নিউইয়র্কের নাগরিক জীবনের বাইরে প্রাকৃতিক জীবন উপভোগ করেছি, মানুষের সঙ্গে মিশে তাদের জীবন বোঝার চেষ্টা করেছি।’
তিনি বলেন, ‘চাইলেই শুধু পত্রিকায় স্টোরি করে ১০ বছর পার করে দিতে পারতাম, কিন্তু এই ১০ বছর সময়কে উপভোগ করেছি, আফ্রিকাকে নতুন করে আবিষ্কার করেছি।’
দর্শকসারি থেকে প্রশ্ন আসে কাশ্মীর ইস্যুতে তার অবস্থান নিয়ে। কেননা, তার বর্তমানে দিল্লিতে নিউইয়র্ক টাইমসের ব্যুরো-প্রধান হিসেবে কর্মরত। গেটেলম্যান বলেন, ‘অর্থনীতি ও রাজনৈতিক বিবেচনায় ভারত একটি শক্তিশালী অবস্থানে আছে। অপরদিকে পাকিস্তান পারমাণবিক দিকে শক্তিশালী হলেও অর্থনীতিতে দুর্বল। রাজনীতিতেও শক্ত অবস্থানে নেই। এ কারণে তারা কাশ্মীর নিয়ে যুদ্ধের ঘোষণা দিলেও বেশি দূর যেতে পারবে না।’
খ্যাতিমান এই সাংবাদিকের সাফ কথা, ‘কাশ্মীরের জনগণ নিরাপত্তা চায়, নিজের দেশ চায়। কিন্তু ভারতের নতুন নীতির জন্য সংবাদিকরা চাইলেও কিছু বলতে পারে না, যদিও কাশ্মির নিয়ে সাংবাদিকদের অনেক কিছু বলার কথা। কারণ, পৃথিবীতে সবাই শান্তি চায়।’ তবে গেটেলম্যান এ কথাও অপকটে স্বীকার করেন, সাংবাদিকরা চাইলেও সবসময় নিরপেক্ষ থাকতে পারেন না। এমনকী যখন যেখানে সোচ্চার হওয়ার দরকার, নানা কারণে তা সম্ভব হয় না।