‘যত বেশি সময় কাটাই, তত বেশি রহস্যময় হতে থাকে সবকিছু’

9999গত শতকের নব্বইয়ের দশক এবং একুশ শতকের গোড়ার দিকে প্রায় ২৫ বছর ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভ্রমণের পর এখাকার মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাসের বৈচিত্র্য তাকে জীবন নিয়ে নতুন করে ভাবতে শিখিয়েছে। এই উপলব্ধির কথা জানিয়ে স্কটিশ ইতিহাসবিদ ও সমালোচক উইলিয়াম ড্যালরিম্পল বললেন, এই উপমহাদেশে যত বেশি সময় কাটান তিনি, তত বেশি রহস্যময়তা ঘিরে ধরে তাকে; অন্বেষণের খিদে বাড়তে থাকে।
ঢাকা লিট ফেস্টের নবম আসরের শেষ দিন শনিবার (৯ নভেম্বর) বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান মিলনায়তনে ‘অন দ্য রোড: ট্রাভেল রাইটিং উইথ উইলিয়াম ড্যালরিম্পল’ শীর্ষক সেশনে এই উপলব্ধির কথা জানান তিনি।
লেখক অন্তরা গাঙ্গুলীর সঞ্চালনায় ড্যালরিম্পল তার বহুল পঠিত ‘সিটি অব জিনস’, ‘নাইন লিভস: ইন সার্চ অব দ্য স্যাক্রেড ইন মডার্ন ইন্ডিয়া’ এবং ‘দ্য এজ অব কালি: ট্রাভেলস অ্যান্ড এনকাউন্টারস ইন ইন্ডিয়া’ থেকে নির্বাচিত অংশ পড়ে শোনান।
পার্সি-উর্দু সংস্কৃতির মানুষের যাপিত জীবন, মধ্যপ্রাচ্যে অতীত আভিজাত্যে অভ্যস্ত মানুষগুলোর বর্তমান ভোগান্তি, অষ্টাদশ শতকে ফিলিস্তিন-ইসরায়েলের মানুষের ধর্মীয় আচার ও জীবনযাপনের ধরন নিয়েও কথা বললেন এই ইতিহাসবিদ।
উপমহাদেশীয় ধর্মীয় ব্যবস্থার বৈচিত্র্য নিয়ে সঞ্চালক অন্তরা গাঙ্গুলীর করা এক প্রশ্নের উত্তরে ডালরিম্পল বলেন, ইতিহাস আর ধর্মীয় আচার-ব্যবহার নিয়ে তার আগ্রহের প্রাথমিক স্তরে উপমহাদেশের ধর্মীয় বৈচিত্র্য তাকে খুব আকৃষ্ট করতো। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের হাজারো দেবতা কিংবা বুদ্ধের জীবন-দর্শন, সৃষ্টি নিয়ে আধ্যাত্মিকতা তাকে বিমোহিত করতো।
প্রসঙ্গত, ড্যালরিম্পল ভারতীয় উপমহাদেশের বর্তমান ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে একটি বই প্রকাশ করেছেন। অষ্টাদশ ও মধ্য-উনিশ শতকের ব্রিটিশ ও মুঘলদের আন্তঃসম্পর্ক নিয়ে বই লিখে তিনি পুরস্কৃত হয়েছেন।