ঢাকা লিট ফেস্টের নবম আসরের শেষ দিন শনিবার (৯ নভেম্বর) বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান মিলনায়তনে ‘অন দ্য রোড: ট্রাভেল রাইটিং উইথ উইলিয়াম ড্যালরিম্পল’ শীর্ষক সেশনে এই উপলব্ধির কথা জানান তিনি।
লেখক অন্তরা গাঙ্গুলীর সঞ্চালনায় ড্যালরিম্পল তার বহুল পঠিত ‘সিটি অব জিনস’, ‘নাইন লিভস: ইন সার্চ অব দ্য স্যাক্রেড ইন মডার্ন ইন্ডিয়া’ এবং ‘দ্য এজ অব কালি: ট্রাভেলস অ্যান্ড এনকাউন্টারস ইন ইন্ডিয়া’ থেকে নির্বাচিত অংশ পড়ে শোনান।
পার্সি-উর্দু সংস্কৃতির মানুষের যাপিত জীবন, মধ্যপ্রাচ্যে অতীত আভিজাত্যে অভ্যস্ত মানুষগুলোর বর্তমান ভোগান্তি, অষ্টাদশ শতকে ফিলিস্তিন-ইসরায়েলের মানুষের ধর্মীয় আচার ও জীবনযাপনের ধরন নিয়েও কথা বললেন এই ইতিহাসবিদ।
উপমহাদেশীয় ধর্মীয় ব্যবস্থার বৈচিত্র্য নিয়ে সঞ্চালক অন্তরা গাঙ্গুলীর করা এক প্রশ্নের উত্তরে ডালরিম্পল বলেন, ইতিহাস আর ধর্মীয় আচার-ব্যবহার নিয়ে তার আগ্রহের প্রাথমিক স্তরে উপমহাদেশের ধর্মীয় বৈচিত্র্য তাকে খুব আকৃষ্ট করতো। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের হাজারো দেবতা কিংবা বুদ্ধের জীবন-দর্শন, সৃষ্টি নিয়ে আধ্যাত্মিকতা তাকে বিমোহিত করতো।
প্রসঙ্গত, ড্যালরিম্পল ভারতীয় উপমহাদেশের বর্তমান ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে একটি বই প্রকাশ করেছেন। অষ্টাদশ ও মধ্য-উনিশ শতকের ব্রিটিশ ও মুঘলদের আন্তঃসম্পর্ক নিয়ে বই লিখে তিনি পুরস্কৃত হয়েছেন।