মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পরিচয়ে চাকরি, সাবেক রাজস্ব কর্মকর্তার কারাদণ্ড

আদালত

মুক্তিযোদ্ধার সন্তান না হয়েও প্রতারণার মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের কোটায় চাকরি নেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সাবেক সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (শুল্ক, আবগারি ও ভ্যাট কমিশনারেট) মনিরুজ্জামানকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক শহিদুল ইসলাম এই রায় ঘোষণা করেন।

দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রেজাউল করিম এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, রায় ঘোষণার সময় মনিরুজ্জামান পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে সাজার পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন, ‘এ মামলায় তিন ধারায় আসামিকে ১৬ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। পেনাল কোডের ৪২০/৪৬৮ ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সাত বছর করে চৌদ্দ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। এছাড়া পেনাল কোডের ৪৭১ ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আরও দুই বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।’ তিন ধারার সাজা একত্রে চলবে বলেও আদেশে উল্লেখ করা হয়।

বিচারক রায়ে আরও উল্লেখ করেন, ‘আসামি মনিরুজ্জামান মুক্তিযোদ্ধার সন্তান না হয়েও প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল সামাদের ঠিকানা ব্যবহার করেন। তিনি প্রতারণামূলকভাবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে মিথ্যা পরিচয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সরকারের দেওয়া স্বীকৃতি, কোটা ও সুবিধা ভোগ করেছেন। তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগকে অপব্যবহার তথা অপমান করেছেন। ফলে আসামি কোনও অনুকম্পা পেতে পারেন না। দেশের অন্যদের জন্যও এই রায় বার্তা হিসেবে কাজ করবে।’

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে এই দুর্নীতির মামলা করে দুদক। ২০১৫ সালের ২৪ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়। বিভিন্ন সময়ে আদালতে ২১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের পর রায় ঘোষণা করেন আদালত।