রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গতকাল সোমবার (১১ নভেম্বর) বিকাল ৫টার দিকে লোকমানকে কাশিমপুর কারাগার থেকে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক প্রধান কার্যালয়ে আনা হয়। পরে রাতে রমনা থানায় রাখা হয় তাকে। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আবারও দুদক প্রধান কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩ নভেম্বর লোকমানের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত।
এর আগে গত ২৭ অক্টোবর অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলায় ৪ কোটি ৩৪ লাখ ১৯ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলার বাদী হলেন দুদকের সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলাম।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর মণিপুরি পাড়ার বাসা থেকে লোকমানকে গ্রেফতার করা হয়।
দুদক জানায়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বরখাস্ত কাউন্সিলর এ কে এম মমিনুল হক সাঈদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত লোকমান। যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কমিটির যুগ্ম সম্পাদক সাঈদ বর্তমানে সিঙ্গাপুরে অবস্থান করছেন। জিজ্ঞাসাবাদে লোকমান ক্যাসিনো ব্যবসা, তার নিয়ন্ত্রণ এবং সাঈদ সম্পর্কেও বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন বলে জানায় দুদক সূত্র। ক্যাসিনো থেকে দিনে ৭০ হাজার টাকা হিসেবে মাসে ২১ লাখ টাকা পাওয়ার তথ্য দিয়েছেন লোকমান।
আরও পড়ুন...
লোকমান হোসেন ভূঁইয়া তৃতীয় দফা রিমান্ডে