আবরার হত্যাকাণ্ডের অভিযোগপত্র

দুই ছাত্রলীগ নেতার শিবির সম্পৃক্ততা

মো. মেহেদী হাসান রবিন ওরফে শান্ত ও হোসেন মোহাম্মদ তোহা

বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ রাব্বি হত্যার তদন্ত শেষে ২৫ জনের বিরুদ্ধে বুধবার (১৩ নভেম্বর) আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এদের মধ্যে দুজনের সঙ্গে অতীতে ছাত্র শিবিরের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। স্থানীয় পুলিশের তদন্তের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

সেই দুজন হলেন- বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মেহেদী হাসান রবিন ওরফে শান্ত ও ছাত্রলীগের সদস্য হোসেন মোহাম্মদ তোহা। হত্যার ঘটনার পর তাদের স্থায়ীভাবে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়। 

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের তদন্তের বরাতে অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ৪ নম্বর আসামি মো. মেহেদী হাসান রবিন ওরফে শান্তর দাদা মমতাজ উদ্দিন সর্দার ওরফে মুনতাজ ডাক্তার নিজ এলাকায় জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। তার চাচা ইমরান স্থানীয় শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এভাবেই রবিনও শিবিরের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।

খুলনার খানজাহান আলী থানা পুলিশের তদন্তের বরাতে বলা হয়, অভিযোগপত্রের ১১ নম্বর আসামি হোসেন মোহাম্মদ তোহা এলাকায় থাকাকালীন শিবিরের সদস্যদের সঙ্গে চলাফেরা করতেন এবং শিবিরের সমর্থক ছিলেন। তার পিতা আবুল হোসেন জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির একজন সমর্থক।

ডিবির পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, ‘ডেসপাস শাখায় অভিযোগপত্রটি জমা দেওয়া হয়। এতে ৩১ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে এবং ২১টি আলামত আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। তদন্তে যার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ পাওয়া গেছে, তা অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।’

আরও খবর: 

আবরার হত্যায় ২৫ আসামির কার কী দায় 

হত্যাকাণ্ডের আগে দুই বৈঠকে অংশ নেন ছাত্রলীগের ১৭ জন

আবরার হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেয় যে ১১ জন