মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীদের নাম থাকায় পাঁচ কলেজের নাম পরিবর্তন

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারী এবং যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত পাঁচটি কলেজের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরমধ্যেই একটি কলেজের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। বাকি আরও চারটি কলেজের নাম পরিবর্তনের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। 

বলা হয়, ইতোমধ্যে রাঙ্গামাটির রাবেতা মডেল কলেজের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে লংগডু মডেল কলেজ। বিশেষ সংস্থা মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে আসছিল কলেজটি।

অন্য যে চারটি কলেজের নাম পরিবর্তন করা হচ্ছে সেগুলো হলো— হবিগঞ্জের মাদবপুরের সৈয়দ সঈদউদ্দিন কলেজ, এটির পরিবর্তিত নাম হতে যাচ্ছে মৌলানা আছাদ আলী ডিগ্রি কলেজ।

কক্সবাজারের ঈদগাঁও ফরিদ আহমেদ কলেজের নাম পরিবর্তন করে করা হচ্ছে ঈদগাঁও রশিদ আহমেদ কলেজ।

টাঙ্গাইলের বাশাইল এমদাদ হামিদা কলেজের নাম পরিবতন করে রাখা হচ্ছে বাশাইল ডিগ্রি কলেজ। আর গাইবান্ধার ধর্মপুর আব্দুল জব্বার কলেজের নাম পরিবর্তন করে রাখা হচ্ছে ধর্মপুর ডিগ্রি কলেজ।

এক বছর আগে সারাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের নামে থাকা কলেজগুলো চিহ্নিত করার উদ্যোগ নেয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীদের নামে থাকা কলেজগুলোর নাম পরিবর্তনের জন্য সংশ্লিষ্ট কলেজের পরিচালনা পর্ষদকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়- কলেজগুলোতে যুদ্ধাপরাধীদের নাম চিহ্নিত করে তা পরিবর্তন করে সংশ্লিষ্ট এলাকার মুক্তিযোদ্ধা/বিশিষ্ট ব্যক্তির নামে নামকরণ করতে হবে। এই ধারাবাহিকতায়  পাঁচটি কলেজের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে সব ডিসিপ্লিনে ‘স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস’ বইটি অবশ্যই পাঠ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।