মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) আদেশের অনুলিপি হাতে পাওয়ার বিষয়টি বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী মো. আজিজুর রহমান দুলু।
২০১৮ সালে কুড়িগ্রামের একটি স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা হয়। এতে জাল সনদ ব্যবহার করে দুজন পরীক্ষা দেন। কিন্তু তাদের উত্তীর্ণ দেখানোর সুপারিশ করা হয়। তবে নিয়োগ বোর্ডের সভাপতির দায়িত্বে থাকা শিক্ষক শেখ মো. নজরুল ইসলাম তা মানেননি। পরে জেলা প্রশাসন থেকে ২০১৮ সালের ২৬ জুলাই নজরুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করে চিঠি দেওয়া হয় এবং তার বেতন আটকে দেওয়া হয়। এতে স্কুল সভাপতির ভূমিকা ছিল।
ওই আদেশের বিরুদ্ধে নজরুল ইসলাম হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। রিটের শুনানিতে আদালত বরখাস্তের আদেশ স্থগিত করেন এবং তাকে চাকরিতে পুনর্বহাল করতে ডিসি সুলতানা পারভিনকে নির্দেশ দেন।
আইনজীবী মো. আজিজুর রহমান বলেন, ‘রায়ের প্রায় এক বছর হতে চললেও কুড়িগ্রামের ডিসি রায় বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেননি। তাই তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করা হয়। গত ৪ নভেম্বর মামলার শুনানিতে আদালত ডিসির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারির আদেশ দেন।’ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে আজ ওই আদেশের সত্যায়িত অনুলিপি তারা হাতে পেয়েছেন বলে জানান তিনি।