বুধবার (২০ নভেম্বর) সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘একটি চিহ্নিত কায়েমি স্বার্থবাদী গোষ্ঠী পরিবহন সেক্টরে প্রভাব বিস্তার করে বিভিন্ন সময়ে সরকারের ভালো কাজগুলোকে প্রশ্নবিদ্ধ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। এই গোষ্ঠী জনগণের প্রত্যাশিত নতুন সড়ক আইন বাস্তবায়নে বাধা দিচ্ছে। তারা নিরীহ শ্রমিকদের মাঝে গুজব রটিয়ে ফায়দা হাসিল করতে চায়। কেননা, এই মহলটি পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজি, ধান্ধাবাজি, নৈরাজ্য জিইয়ে রেখে দীর্ঘদিন ধরে তাদের স্বার্থ হাসিল করে আসছিল। নতুন সড়ক আইন বাস্তবায়ন হলে তাদের এ জাতীয় অনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ হওয়ার শঙ্কায় তারা আবারও নতুন ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে।’ এদের খুঁজে বের করে দ্রুত আইনের আওতায় আনারও দাবি জানান তিনি।
পরিবহন আইন সংশোধনসহ যেকোনও দাবি-দাওয়া গণতান্ত্রিক পন্থায় আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আহ্বান জানিয়ে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব আরও বলেন, ‘এই আইনে যাত্রী সাধারণের কোনও প্রতিনিধিত্ব রাখা হয়নি। ভাড়া নির্ধারণ, পরিবহন পরিচালনায় কমিটিসহ সব ক্ষেত্রে যাত্রী সাধারণের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা গণমানুষের দাবি। তাই আমরাও এই আইন সংশোধন চাই। দাবি আদায়ের নামে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে, সরকারকে জিম্মি করার ষড়যন্ত্র থেকে বেরিয়ে এসে জরুরি ভিত্তিতে কর্মবিরতির নামে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করুন।’