উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা সংকট কাটাতে প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ


উপকূলীয় এলাকার জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে সরকার আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম। তিনি বলেন, উপকূলীয় এলাকার সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা সংকট কাটাতে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। এটা সম্ভব হলে দক্ষিণাঞ্চলের প্রত্যন্ত এলাকায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছানো সম্ভব। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য অত্যাবশ্যকীয় স্বাস্থ্যসেবা শীর্ষক এক প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবার সংকট মোকাবেলায় কী কী করতে হবে এবং সে অনুযায়ী নানা পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন আয়োজকরা। তারা জানান, নতুন এ প্রকল্পের মাধ্যমে দক্ষিণাঞ্চলের দুর্গম-প্রত্যন্ত অঞ্চলে বাস করা সুবিধাবঞ্চিত প্রায় দুই দশমিক ছয় মিলিয়ন মানুষ স্বাস্থ্যসেবা পাবেন।

প্রসঙ্গত, কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড এর তত্ত্বাবধানে ইউকেএইড এর সহযোগিতায় সাড়ে তিন বছর মেয়াদী (২০১৯-২০২২) এ প্রকল্পের সহায়তায় বরিশাল বিভাগের বরগুনা, ভোলা ও পটুয়াখালী এবং খুলনা বিভাগের বাগেরহাট, খুলনা ও সাতক্ষীরাসহ মোট ৯টি উপজেলা ও ৮টি পৌরসভায় স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

অনুষ্ঠানে আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ প্রকল্পের লক্ষ্য হলো রোগব্যাধি ও মৃত্যুহার হ্রাস করে সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা পরিধি বাড়ানোর মাধ্যমে প্রতিবন্ধীসহ সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য, পরিবার-পরিকল্পনা ও পুষ্টির উন্নয়ন করা।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ আমিনুল হাসান (হাসপাতাল ‍ও ক্লিনিক)। তিনি বলেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে উপকূলবর্তী প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছানো সহজ হবে।

দাতা সংস্থা ইউকেএইড এর বাংলাদেশ কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ জুডিথ হারবার্টসন বলেন, উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে যুক্তরাজ্য মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তির সুযোগ উন্নীত করতে বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা করে চলেছে। এ ধারাবাহিকতায় নতুন এই প্রকল্পে ইউকেএইড অংশ নিয়েছে।