অঘোষিত কর্মবিরতি প্রত্যাহারের আহ্বান

জাতীয় সড়ক পরিবহন মোটর শ্রমিক ফেডারেশনের সংবাদ সম্মেলন

পরিবহন শ্রমিকদের অঘোষিত কর্মবিরতি প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় সড়ক পরিবহন মোটর শ্রমিক ফেডারেশন। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) গাবতলীতে সংগঠনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান ফেডারেশনের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘পরিবহন শ্রমিকরাও সড়ক পরিবহন আইনের বাস্তবায়ন চান। তবে এতে পরিবহন শ্রমিকদের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি।’

এই শ্রমিক নেতা বলেন, ‘দেশে ৪০ লাখ পরিবহন রয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ২৭ লাখের (চালকের) ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে। বাকি গাড়িগুলো লাইসেন্স ছাড়া অবৈধ উপায়ে চালক দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে।’

তিনি আরও  বলেন, ‘সড়ক পরিবহন আইনের ১৪টি অধ্যায়ের ১২৫টি ধারার মধ্যে ৫২টি ধারাই শাস্তির বিধান সম্পর্কিত। কিন্তু চালকরা ছাড়াও পথচারী, সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরসহ বিভিন্ন পক্ষ সড়ক দুর্ঘটনার জন্য দায়ী।’

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নামে পরিবহন খাতে বিশৃঙ্খলা তৈরি করা হচ্ছে। চাঁদাবাজির সুযোগ রাখতেই এটা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

মোস্তাকুর রহমান বলেন, ‘মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নামে তারা ২০০৩ সাল থেকে ব্যাপক চাঁদাবাজি করছে। এসব নেতা সরকারের ভেতরে থেকে পরিবহন ধর্মঘটের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে অবৈধ চাঁদাবাজি বহাল রাখতে চায়। সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবায়ন করতে হলে দুর্নীতিবাজ এই নেতাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।’

সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের বৈঠক

এদিকে, সড়ক পরিবহন আইনের বিভিন্ন দিক নিয়ে সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির তৃতীয় তলায় বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের নেতারা।

শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি শাজাহান খানের সভাপতিত্বে সভায় দেশের বিভিন্ন জেলার পরিবহন শ্রমিক নেতারা অংশ নেন। বৃহস্পতিবারও বৈঠক করেন শ্রমিক নেতারা। তবে বৈঠকের বিষয়ে গণমাধ্যমে কোনও কথা বলেননি তারা।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সকালে ফের বৈঠক শুরু হয়। শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ সভায় সড়ক পরিবহন আইনের কয়েকটি ধারা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

এরমধ্যে জামিন অযোগ্য ধারা বাতিল, জরিমানা ও শাস্তির পরিমাণ কমানোসহ ৯টি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। দুপুর পর্যন্ত বৈঠক চলছিল।