যে ১৩ কলেজকে ‘সেন্টার অব এক্সিলেন্স’ হিসেবে গড়ে তোলার ঘোষণা

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

দেশের ১৩টি ঐতিহ্যবাহী শতবর্ষী কলেজকে নতুন করে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে একটি নেটওয়ার্কিংয়ের মাধ্যমে। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এই ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে ‘সেন্টার অব এক্সিলেন্স’হিসেবে গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন।

ঐতিহ্যবাহী এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে প্রথমেই রয়েছে রাজশাহী কলেজ। এছাড়া শতবর্ষী কলেজগুলোর মধ্যে রয়েছে— চট্টগ্রাম কলেজ, চট্টগ্রামের হাজী মুহম্মদ মহসিন কলেজ, নড়াইলের ভিক্টোরিয়া কলেজ, বরিশালের ব্রজমোহন (বিএম) কলেজ, সিলেটের মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজ, পাবনার এডওয়ার্ড কলেজ, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ, খুলনার ব্রজলাল (বিএল) কলেজ, ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজ, রংপুরের কারমাইকেল কলেজ, বাগেরহাটের প্রফুল্লচন্দ্র (পিসি) কলেজ, ও ফরিদপুরের রাজেন্দ্র কলেজ।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে,  দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে থাকা এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একটি নেটওয়ার্কিংয়ে কাজ করবে।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘‘১৩ ঐতিহ্যবাহী শতবর্ষী কলেজে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে ‘সেন্টার অব এক্সিলেন্স’ হিসেবে গড়ে তোলা হবে। শিক্ষা পদ্ধতিকে এমন একটি পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হবে যেন একসময় আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে একটি স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে ধরা হয়।’’

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘কলেজ পর্যায়ের শিক্ষার মানোন্নয়ন আমাদের প্রধান লক্ষ্য। তবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ২ হাজার ২৬০টি কলেজকে রাতারাতি একই মানে নিয়ে আসা সম্ভব নয়। তাই দেশের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থিত ১৩টি শতবর্ষী সরকারি কলেজকে একটি নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে শিক্ষার মানোন্নয়নে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বিশেষ কর্মপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।’

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এরইমধ্যে এই ১৩টি কলেজের মধ্যে নেটওয়ার্কিং গড়ে তোলার কাজ হাতে নিয়েছে। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি আলাদা ইউনিট তৈরি করে শিক্ষা কার্যক্রম সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হবে। এসব কলেজ সমন্বিতভাবে বার্ষিক খেলাধুলা, বিতর্ক, সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।