আট জন সাংবাদিক, অন্যান্য বিভাগের ১০ কর্মীসহ মোট ১৮ জনকে গত এক সপ্তাহে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে এসএ টিভিতে। এই ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদ জানান ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতারা। তারা চাকরিচ্যুত সাংবাদিক ও কর্মচারীদের চাকরিতে পুনর্বহাল ও সব সুযোগ-সুবিধা দিতে এসএ টিভি কর্তৃপক্ষকে ৩৬ ঘণ্টার আল্টিমেটামও দেন। দাবি না মানায় আজ সকাল থেকেই কার্যালয়ের সামনে কর্মচারীদের একাংশকে সঙ্গে নিয়ে তারা অবস্থান ধর্মঘটে অংশ নেন।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা মনে করি, কর্তৃপক্ষ যে কাজটি করেছে তা সঠিক নয়। অন্যায়ভাবে কর্মীদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তারা দেনা-পাওনা নিয়ে কথা বলেনি। অধিকার প্রতিষ্ঠায় সাংবাদিক সমাজকে সঙ্গে নিয়ে আরও কঠিন কর্মসূচিতে যাবে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন।’
তিনি আরও বলেন, ‘যারা গণমাধ্যম বোঝেন এবং সাংবাদিকতার সঙ্গে সম্পৃক্ত, এমন ব্যক্তিরাই মূল জায়গায় থাকা উচিত। সেটিও আমাদের আজকের আলোচনার বিষয়।’ রাষ্ট্রের কাছে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যখন কোনও টেলিভিশনের অনুমোদন দেওয়ার বিষয়টি আসবে, তখন শীর্ষস্থানের পদগুলোতে যারা আছেন তারা যথেষ্ট প্রগতিশীল কিনা, গণমাধ্যম পরিচালনায় তারা অভিজ্ঞ কিনা, এসব বিবেচনা করে যেন অনুমোদন দেওয়া হয়।’
এসএ টিভি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খ ম হারুন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, তিনি ঢাকার বাইরে থাকায় কর্মীদের আন্দোলনের বিষয়ে তেমন কিছু জানেন না। তালা লাগানো বা আন্দোলনের বিষয়ে অফিসের কেউ কিছু জানিয়েছে কিনা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘শুনেছি অবরোধ হচ্ছে। এর বাইরে কিছু বলতে পারবো না।’ এ মুহূর্তে অন্য কেউ কিছু জানাতে পারবে না বলে উল্লেখ করেন খ ম হারুন। তিনি জানান, আগামী ১০ ডিসেম্বর নাগাদ ঢাকায় ফিরতে পারেন।