ইন্টারনেট থেকে মিথিলা-ফাহমির ব্যক্তিগত ছবি সরিয়ে ফেলার নির্দেশ

হাইকোর্ট

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ সব অনলাইন নিউজ পোর্টাল থেকে অভিনেত্রী মিথিলা ও পরিচালক ফাহমির ব্যক্তিগত গোপনীয় ছবি সরিয়ে ফেলতে বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির নিহত শিক্ষার্থী টুম্পার মরদেহের ছবিও অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রবিবার (৮ ডিসেম্বর) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার তাহসিনা তাসনিম মৃদু।

পাশাপাশি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানুষের ব্যক্তিগত ও গোপনীয় ছবি, তথ্য বা কোনও উপাদান প্রচারের নিয়ন্ত্রণে বিবাদীর ব্যর্থতা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

এছাড়াও অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানুষের ব্যক্তিগত ও গোপনীয় ছবি, তথ্য, বা কোনও উপাদান প্রচারের ক্ষেত্রে কেন নিয়ন্ত্রণ করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

রিটের বিবাদী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব, তথ্য মন্ত্রণালয় সচিব, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) এসব রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

ব্যারিস্টার তাহসিনা তাসনিম মৃদু বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, বছরের পর বছর ধরে সেলিব্রিটিদের বা সাধারণ মানুষের ব্যাক্তিগত গোপনীয় ছবি ছাপিয়ে বিভিন্ন নিউজ পোর্টাল নিউজ করে যাচ্ছে। আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ব্যাক্তিগত ও অশ্লীল ছবি ছড়িয়ে পড়ছে। দায়িত্বশীল নিউজ পোর্টালগুলো হয়ত নিউজ করেছে ঠিকই কিন্তু সেখানে অশ্লীল ছবিগুলো প্রকাশ করেনি। কিন্তু অন্যান্য কিছু নিউজ পোর্টাল এসব ছবিসহ নিউজ পাবলিশ করছে। অথচ আমাদের জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা ২০১৪ অনুসারে লাইসেন্সবিহীন কোনও মিডিয়া নিউজ করতে পারবে না বলে বলা হয়েছে। এছাড়াও নীতিমালার পঞ্চম অধ্যায়ে বলা আছে, এমন কোনও অপমানজনক ছবি প্রকাশ করা যাবে না যা ব্যক্তির আত্মমর্যাদাকে ক্ষুণ্ন করে। তাই এসব বিষয়ে আদালতের নির্দেশনা চেয়ে গত ২৮ নভেম্বর রিটটি দায়ের করেছিলাম।