রাকিবের অভিযোগ, তিনি রবিবার রাতে হলে ঘুমাচ্ছিলেন। ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে তার রুমে আসেন হল শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন। তারা তাকে ঘুম থেকে উঠিয়ে গেস্টরুমে নিয়ে যান। সেখানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একপর্যায়ে শিবির অপবাদ দেওয়া হয়। তিনি অস্বীকার করলে মারধর করা হয়।
রাকিবের দাবি, ‘তার বিভাগের প্রথম বর্ষের সুমন নামের এক জুনিয়রকে ছাত্রদলকর্মী সন্দেহে মারধর করা হয়। সে অন্য কাউকে চিনে কিনা জিজ্ঞাসা করা হয়। সুমন তাকে (রাকিব) চেনে বলে তাদেরকে জানায়।’
রাকিবুল হাসান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমাকে ঘুম থেকে তুলে গেস্টরুমে আনা হয়। সেখানে এসে দেখি আমার বিভাগের ছোট ভাই সুমনকেও মারা হচ্ছে। তাকে শিবির অপবাদ দিয়ে মারধর করেন হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফসার হাসান রানা, লাভলু, জহিরসহ আরও কয়েকজন। অন্যদের আমি চিনি না।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে স্যার এ এফ রহমান হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফসার হাসান রানা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমি এ ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানি না।’
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমি সমাবর্তন নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। ঘটনা সম্পর্কে অবহিত নই। ঘটনাটি যাচাই-বাছাই করে যদি কেউ অপরাধী প্রমাণিত হয়, তাহলে ব্যবস্থা নেবো।’
এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে স্যার এ এফ রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ঘটনাটি সম্পর্কে আমি শুনেছি। সমাবর্তন নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। একজন আবাসিক শিক্ষককে এটি দেখার জন্য দায়িত্ব দিয়েছি। ব্যবস্থা নেবো।’