বিজয় দিবস উপলক্ষে দেশের সব কারাগারে অনুষ্ঠান এবং বন্দিদের জন্য বিশেষ খাবারের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ কারা অধিদফতর। সবচেয়ে বড় আয়োজন হয়েছে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে। এই কারাগারের বিশাল মাঠে মানবপতাকা প্রদর্শন করেন বন্দিরা। কারা কর্তৃপক্ষ ও বন্দিরা মিলে এখানে একসঙ্গে বিজয় দিবস উদযাপন করেছেন। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) কারাগারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজয়ের ৪৮তম বার্ষিকী পালনে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে ব্যাপক কর্মসূচির অংশ হিসেবে কারা অধিদফতর এই আয়োজন করেছে।
এদিন ভোরে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে জাতীয় পতাকা এবং কারা অধিদফতরের পতাকা উত্তোলন করা হয় কারাগারে। এ সময় বন্দি ও কারারক্ষীরা সমস্বরে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন। যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপন করেন তারা। বিজয় উল্লাসে আনন্দে উদ্বেলিত হন বন্দিরা।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ইকবাল কবির চৌধুরী বলেন, ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রতিবছরের মতো এবারও বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। কারারক্ষী ও বন্দিরা সকালে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করেন। এরপর দিনব্যাপী বিভিন্ন আয়োজন ছিল। বন্দিদের জন্য বিশেষ খাবার আয়োজন করা হয়েছে। স্বজনদের পাঠানো খাবারও তাদের দেওয়া হয়েছে।’
বিজয়ের এই দিনে বন্দিদের জন্য বিশেষ খাবারের আয়োজন করে কারা কর্তৃপক্ষ। সকালে বন্দিদের পায়েস, মুড়ি ও মিষ্টি দেওয়া হয়। দুপুরে পোলাও, গরু ও মুরগির মাংস, সালাদ দেওয়া হয়। এছাড়াও বন্দিদের স্বজনদের ঘরে তৈরি করা বিশেষ খাবারও তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আগামীকালও (মঙ্গলবার) স্বজনরা বন্দিদের জন্য ঘরে তৈরি খাবার দিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার।
কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি ও জেলা কারাগারেও বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। হাইসিকিউরিটি কারাগারের জেলার বিকাশ রায়হান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বিজয় দিবস উপলক্ষে আমরা কারাগারে বন্দিদের নিয়ে ১৫ ওভারের একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছিলাম। বন্দিরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে সেখানে দলের হয়ে অংশ নিয়েছেন। তাদের জন্য বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা ছিল।’
এছাড়াও দেশের জেলা ও বিভাগীয় কারাগারেও ছিল বিশেষ আয়োজন।