শীর্ষস্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউনের আয়োজনে ‘শিক্ষার অগ্রযাত্রায় স্যার আবেদের ভূমিকা’ শীর্ষক বৈঠকিতে তিনি একথা বলেন। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকালে শুরু হয় বাংলা ট্রিবিউনের সাপ্তাহিক এই আয়োজন।
শিশুশিক্ষায় স্যার ফজলে হাসান আবেদের অবদানের কথা স্মরণ করে তিনি আরও বলেন, ‘আমি আবেদ ভাইকে ব্যক্তি এবং সংগঠক দুভাবে দেখেছি। তিনি নিজের মতো করে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করেছেন। তার মতো ভালো শ্রোতা বোধহয় আর কেউ নেই। আমি যখন বলেছি তিনি শুনেছেন। তিনি বলতেন–“আমরা আপস করবো না। আমরা যদি গণিত করি, তাহলে গণিতের মর্ম বুঝতে হবে। বিজ্ঞান করলে বিজ্ঞানের মর্মে যেতে হবে।” শিশুরা সুবিধাবঞ্চিত–এ ধরনের কথা বাদ দিয়ে তাদের যে অসাধারণ ক্ষমতা আছে সেটা নিয়ে কথা বলতেন তিনি। ব্র্যাক স্কুলকে আমি নানাভাবে দেখেছি। ব্র্যাক স্কুল মানেই শুধু একটি স্কুল না, এটা অত্যন্ত অন্তরঙ্গ একটি ব্যাপার। সেখানে যে শিক্ষক তাকেও একজন দার্শনিক হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। দার্শনিক হিসেবেই শিশুদের সঙ্গে টানা পাঁচ বছর একসঙ্গে থাকা। সুতরাং এত সুন্দর একটি অন্তরঙ্গ বিষয়কে প্রাথমিক বিদ্যালয় বললে আমার মতে অবিচার করা হবে। এটা আসল শিক্ষা, যেটা আবেদ ভাই সারা বিশ্ব থেকে মৌমাছির মতো সংগ্রহ করে এনেছেন। এটাই তার দর্শন।’
সাংবাদিক মুন্নী সাহার সঞ্চালনায় আজকের বৈঠকিতে আরও অংশ নিয়েছেন শিক্ষাবিদ ও কথাসাহিত্যিক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, ব্র্যাক এডুকেশনের পরিচালক শফিকুল ইসলাম, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব এডুকেশনালের নির্বাহী পরিচালক ইরাম মারিয়াম, ব্র্যাকের প্রিভেন্টিং ভায়োলেন্স এগেইনস্ট উইম্যান ইনিশিয়েটিভের পরিচালক নবনীতা চৌধুরী।
রাজধানীর পান্থপথে বাংলা ট্রিবিউন স্টুডিও থেকে এ বৈঠকি সরাসরি সম্প্রচার করে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন নিউজ। পাশাপাশি বাংলা ট্রিবিউনের ফেসবুক ও হোমপেজে লাইভ দেখা গেছে এ আয়োজন।
ইউল্যাবের সহযোগিতায় বৈঠকিটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।