বুয়েটে র‌্যাগিং: ১০ শিক্ষার্থীকে পরীক্ষার সুযোগের নির্দেশ

হাইকোর্টর‌্যাগিংয়ে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) একাডেমিক কার্যক্রমের বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার হওয়া ১০ ছাত্রকে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ শিক্ষার্থীরা হলেন, মির্জা মোহাম্মদ গালিব, মো. জাহিদুল ইসলাম, মো. মুন্তাসিম, আসিফ মাহমুদ, মুনতাসির আহমেদ, আনফালুর রহমান, অর্ণব চৌধুরী, নাহিদ আহমেদ, তানভীর হাসনাইন ও মোহিবুল্লাহ। শিক্ষার্থীদের দায়ের করা রিটের শুনানি শেষে মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে শিক্ষার্থীদের রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক, অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথী, শাকিলা রওশন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নুর উস সাদিক। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব রেসিডেন্স অ্যান্ড ডিসিপ্লিন কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, র্যাগিংয়ের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার ও আবাসিক হল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করে।
তবে সে সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা একাডেমিক কাউন্সিলে আপিল করলে পরে তা খারিজ হয়ে যায়। এরপর ওই খারিজের সিদ্ধান্তে বৈধতা নিয়ে বহিষ্কৃতদের মধ্যে ১০ শিক্ষার্থী হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। সেসব রিটের শুনানি নিয়ে রিটকারী শিক্ষার্থীদের আপিল খারিজ করা একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে চেয়য়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একাডেমিক কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও ছাত্রকল্যাণ পরিদফতরের পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে বহিষ্কার হওয়া রিটকারী ১০ ছাত্রকে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
তবে আদালতের আদেশের পর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নুর উস সাদিক জানান, আদালত ১০ শিক্ষার্থীর পরীক্ষার সুযোগের বিষয়ে যে রুল জারি করেছেন, শুনানির পর সে রুল খারিজ হলে তাদের পরীক্ষা দেওয়ার কোনও মূল্য থাকবে না।