আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ নবজাতকের মা

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজহাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগনবজাতককে বিছানায় রেখে আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ হয়েছেন মা রাশেদা বেগম (২৬)। মাটির হাঁড়িতে আগুন জ্বালিয়ে পোহাচ্ছিলেন তিনি। অসাবধানতায় হঠাৎ তার কাপড়ে আগুন ধরে যায়। এতে শরীরের ৬০ শতাংশ দগ্ধ হয় তার।

বুধবার (১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বগুড়া জেলার ধনুট উপজেলার ছাইতানি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

বগুড়ার স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার পর শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় দগ্ধ রাশেদাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে।

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বাংলা ট্রিবিউনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘বার্ন ইউনিটের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আগুনে রাশেদার শরীরের ৬০ শতাংশ পুড়ে গেছে। বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।’

দগ্ধ রাশেদা বগুড়ার ধনুট উপজেলার ছাইতানি গ্রামের কাঠমিস্ত্রি মো. শাহিনের স্ত্রী। এক ছেলে ও দুই কন্যাসন্তান রয়েছে তাদের। এক সপ্তাহ আগে রাশেদা তার তৃতীয় সন্তানের (কন্যা) জন্ম দেন।

রাশেদার খালা হাফিজা খাতুন বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, সন্তান জন্মের ৭-৮ দিন পর গত বুধবার (১ জানুয়ারি) মাগরিবের নামাজের পর ঘরের মধ্যে মাটির হাঁড়িতে আগুন পোহাচ্ছিল রাশেদা। এ সময় তার কাপড়ে হঠাৎ আগুন লেগে যায়।

তিনি বলেন, ‘বাড়ির লোকজন পানি ঢেলে আগুন নেভায়। এরপর দ্রুত রাশেদাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে শুক্রবার ঢাকা মেডিক্যালের বার্ন ইউনিটে নিয়ে আসা হয়।’